তীর ছুড়ে নরওয়েতে পাঁচজনকে হত্যা, অভিযুক্তকে চিনত পুলিশ
নরওয়েতে তীর ছুড়ে পাঁচজনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে পুলিশ আগে থেকেই চিনত।
পুলিশ জানিয়েছে, ৩৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ডেনিশ নাগরিক। তিনি ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন এবং উগ্রপন্থায় জড়িয়েছিলেন বলে আশঙ্কা ছিল।
বুধবার নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে ৬৮ কিলোমিটার দূরে কংসবার্গে তীর-ধনুক হামলায় পাঁচজন নিহত ও দুইজন আহত হয়। পরে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে আটক করা হয়।
উগ্রপন্থায় সংশ্লিষ্টতার ভয়ের কারণে গত বছর থেকেই ওই ব্যক্তির ওপর নজর রেখেছিল পুলিশ।
তবে এ বছর তার ব্যাপারে কোনো খোঁজ-খবর পুলিশের হাতে ছিল না বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান ওলে ব্রেডরুপ সায়েভেরুড। তিনি বলেন, ‘এটি সন্ত্রাসী হামলা ছিল- এমন সম্ভাবনা পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তদন্ত চলছে।’ হামলার শিকার হওয়া সবার বয়স ৫০-৭০ এর মধ্যে বলে জানান সায়েভেরুড।
নরওয়েতে ২০১১ সালে উগ্র ডানপন্থি অ্যান্ডার্স বেহরিং ব্রেইভিকের হাতে ৭৭ জন নিহতের ঘটনার পর বুধবারের হামলাটি সবচেয়ে প্রাণঘাতী বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বুধবারের ঘটনার সময় হামলাকারী কংসবার্গের বড় এলাকাজুড়ে চলাফেরা করেছে বলে পুলিশের ধারণা।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘কংসবার্গ থেকে যে খবর এসেছে তা আতঙ্কজনক। আমি বুঝতে পারছি, অনেকেই ভীতসন্ত্রস্ত, কিন্তু এখন সবকিছু পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।’