তৃতীয় চার্লসকে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের রাজা ঘোষণা
ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসকে নিজেদের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বরণ করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। রোববার দেশ দুটির রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে তৃতীয় চার্লসকে রাজা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
গত বৃহস্পতিবার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ৯৬ বছর বয়সে মারা যাওয়ার পর চার্লস ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রাজা হন।
নিউজিল্যান্ডে রাজা ঘোষণার অনুষ্ঠানটি হয় রাজধানী ওয়েলিংটনের পার্লামেন্টে। পার্লামেন্টের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, এই অনুষ্ঠানে রানির পুত্র ‘মহামান্য রাজা তৃতীয় চার্লসকে আমাদের সার্বভৌম হিসেবে’ স্বীকৃতি দেওয়া হলো।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শ্রোতাদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, রানির মৃত্যুর পর নিউজিল্যান্ড পরিবর্তনের একটি সময়ে প্রবেশ করেছে।
‘রাজা চার্লস আমাদের জাতির জন্য গভীর মনোযোগ দেখিয়ে আসছেন। আমাদের জনগণ এই সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্যায়ন করে। এটি আরও গভীর হবে, এ বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই,’ বলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ায় ব্রিটিশ রাজার প্রতিনিধি গভর্নর জেনারেল ডেভিড হারলি রাজধানী ক্যানবেরার পার্লামেন্ট হাউসে রাজা চার্লসকে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষণা করেন। ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে এ ঘোষণা উদযাপন করা হয়।
যুক্তরাজ্যের বাইরে ১৪টি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান ব্রিটিশ রাজা। এসব রাষ্ট্রের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড অন্যতম। তবে দেশগুলোতে রাজার এ ভূমিকা মূলত আনুষ্ঠানিক।
রানি এলিজাবেথের মৃত্যুতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হচ্ছে, পার্লামেন্টের অধিবেশন স্থগিত করা হয়েছে এবং রানির বিশাল একটি ছবি সিডনির অপেরা হাউসের পালগুলোতে প্রদর্শন করা হচ্ছে।