দক্ষিণ কোরিয়ায় সব প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অক্সফোর্ডের টিকা অনুমোদন
দক্ষিণ কোরিয়ার ওষুধ সুরক্ষা সংস্থা বুধবার কার্যকারিতা সংক্রান্ত বিতর্কের মধ্যেই ৬৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সীসহ সব প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার অনুমোদন দিয়েছে। খবর ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি।
চূড়ান্ত পর্যালোচনা সভা শেষে ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে খাদ্য ও ওষুধ সুরক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় দুটি পূর্ণ ডোজ এই শর্তে অনুমোদন দিয়েছে যে, ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্মকে ১৮ বছরের বেশি বয়স্কদের জন্য তিন ধরনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পর্কিত আরো তথ্য জমা দিতে হবে।
তবু, মন্ত্রণালয় ৬৫ বা তার বেশি বয়সের লোকদের এই টিকা দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে। এর আগে পৃথক পর্যালোচনা প্যানেল জানায়, বেশি বয়সীদের জন্য এর কার্যকারিতা সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য নেই।
বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে কার্যকর হওয়ার মতো পর্যাপ্ত তথ্য নেই বলেই বয়স্কদের জন্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবহার নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল।
গত সপ্তাহে, ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সির বিশেষজ্ঞ কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে এই ভ্যাকসিনটি ১৮ বা তার বেশি বয়সীদের জন্য ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছিল।
তবে জার্মানি ও ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ঘোষণা করেছে, তারা তরুণদের মধ্যে এই ভ্যাকসিনকে সীমাবদ্ধ রাখবে ও এর কার্যকারিতা সম্পর্কে অপর্যাপ্ত তথ্য উল্লেখ করে প্রবীণদের ক্ষেত্রে এটির ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করবে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা তার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম চালানটি ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পরের কয়েকদিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিতরণ শুরু করবে।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুধবার জানিয়েছেন, তারা আগামী সপ্তাহে দেশের সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর এখনো অনুমোদন না পাওয়া জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা শুরু করবে।
এপির খবরে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জোয়েলি মেখিজে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ব্যবহারের পরিকল্পনা বাতিল করেছে। কারণ এটি ‘হালকা থেকে মাঝারি রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম নয়’।