দুই বছর পর পুরোপুরি খুলল অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর অস্ট্রেলিয়া টিকা নেওয়া ভ্রমণকারীদের জন্য সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিয়েছে। সোমবার সীমান্ত খুলে দেওয়ার পরই ভ্রমণকারীরা দেশটিতে আসতে শুরু করেছে এবং শত শত মানুষ পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে ফের মিলিত হতে পেরেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এ দিন ৫০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট দেশটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে যারমধ্যে ২৭টি বৃহত্তম শহর সিডনির বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
পর্যটনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল দ্বীপ রাজ্য তাসমানিয়াতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ খুব উত্তেজনাপূর্ণ দিন, মহামারির কারণে প্রথম সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে আমি আজকের এ দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম।’
অনেক দিন ধরে প্রিয়জনের কাছ থেকে দূরে থাকার পর এ দিন বহু আবেগঘন পুনর্মিলনের ঘটনা ঘটেছে। যেমন নিজের মেয়েকে দেখতে যুক্তরাজ্যের কেনটাকি থেকে এসেছেন মা সিনডি মস।
মেয়েকে জড়িয়ে ধরার পর আবেগঘন কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমি কতোদিন ধরে তাকে দেখি না, এখানে আসতে পারা তাই অনেক বড় একটি ব্যাপার। আমি অত্যন্ত খুশি।’
পর্যটন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বড় শিল্পখাত। দেশটির কর্মীবাহিনীর প্রায় ৫ শতাংশ ৪৩ বিলিয়ন ডলারের এ খাতটিতে নিয়োজিত। কিন্তু মার্চ, ২০২০ এ সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে খাতটি প্রায় পঙ্গু হয়ে ছিল।
কোভিড-১৯ দমিয়ে রাখার কৌশলে অস্ট্রেলিয়া একসময় অত্যন্ত সফল ছিল। এরপর অধিকাংশ জনগণকে টিকার আওতায় আনার পর গত বছরের শেষ দিক থেকে দেশটি দুর্গ ধরনের নিয়ন্ত্রণ ও অবিরাম লকডাউন থেকে সরে ভাইরাসের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জীবনযাপন শুরু করে।