দেশ পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্য চেয়েছে তালেবান সরকার
আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার জানিয়েছে, তারা একটি ‘স্বাধীন’ আফগানিস্তান চায়। এজন্য যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে তারা। সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
তালেবান-কথিত ‘আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের’ ২০তম বার্ষিকীতে তালেবান সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপমন্ত্রী এবং সশস্ত্র বাহিনীটির অন্যতম মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ এ আহ্বান জানান।
তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘আমরা আশা করি, জাতিসংঘ, বিশ্বের ধনী দেশগুলো এবং অন্যান্য বিভিন্ন সংস্থা আফগান জনগণকে সহযোগিতা করবে এবং তাদের সাহায্য ও সহায়তাকে রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে না।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি বছর এপ্রিলে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। সে ঘোষণার এক মাস পর থেকে আফগানিস্তান দখলের অভিযান শুরু করে তালেবান বাহিনী এবং মাত্র তিন মাসের মধ্যে দেশের প্রায় সবগুলো প্রদেশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার পর গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে তালেবান।
রাজধানী দখলের দুই সপ্তাহ অতিক্রান্ত হওয়ার পর নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তুতি শুরু করে তালেবান। এর আগে আফগানিস্তানে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল তালেবান। ওই সময় আল-কায়েদাসহ অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর সন্ধানে দেশটিতে আক্রমণ করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী।
জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘গত ২০ বছরে মার্কিন হামলার ফলে হতাহত এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের অগণিত আর্থিক ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই হয়নি। এ ছাড়া আক্রমণের ফলে হাজারও আফগান নাগরিক শহীদ, আহত ও গৃহহীন হয়ে পড়ে।’
মুজাহিদ বলেন, আফগানিস্তান থেকে বিদেশি বাহিনীর চলে যাওয়া ‘অন্যদের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা’। আর কেউ যেন ‘আফগানিস্তানে আক্রমণ করার বিষয়ে কখনও চিন্তা না করে’, সে ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।