নাইজেরিয়ার নির্বাচন : ফলাফল পেতে কয়েকদিন লাগতে পারে
১৯৯৯ সালে সামরিক শাসন অবসানের পর নাইজেরিয়ার সবচেয়ে কঠিন প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচনে ভোটগণনা চলছে। এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল অনেক, এমনকি প্রথমবার ভোট দিতে আসা ভোটাররা তাদের রায় জানাতে ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভীড় করতে থাকেন।
শনিবারের এই ভোটপ্রদান প্রক্রিয়ায় শেষ হতে ভোট কেন্দ্রে বেশ সময় লাগে, এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় সশস্ত্র লোকজন ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে গেছে এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।
আবার কয়েকটি দল নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনেছে যা ফলাফল ঘোষণায় বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নাইজেরিয়ার এই নির্বাচনকে আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক চর্চা হিসেবে দেখা হচ্ছে যেখানে আট কোটি ৭০ লাখ লোক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছে।
২৪ বছর আগে দেশটির রাজনীতিতে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চা শুরু হওয়ার পর প্রধানত দুটি দলের প্রভাব দেখা গেছে, যার মধ্যে রয়েছে ক্ষমতাসীন এপিসি এবং পিডিপি। তবে এইবার তৃতীয় একটি দলের উত্থান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। লেবার পার্টির প্রার্থী পিটার ওবি যার বেশিরভাগ সমর্থকই হচ্ছেন বয়সে তরুণ, এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বোহারির প্রতি প্রতিদ্বন্দ্বিতার কঠিন বার্তা দিয়েছেন।
নির্বাচনে দশ হাজারের বেশি ভোট কেন্দ্রে ভোট গণনা চলছে যার ফলাফল পাঠানো হবে রাজধানী আবুজায় নির্বাচনী সদর দপ্তরে। চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যেতে পারে মঙ্গলবার নাগাদ।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রধান ব্যক্তি মাহমুদ ইয়াকুবু ভোটদান কাজে দেরি হওয়া জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন যারা স্থানীয় সময় বেলা আড়াইটা নাগাদ ভোটকেন্দ্রে ছিল তাদের সবাইকে ভোট প্রদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে যদিও সে সময় ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
একটি ভোট কেন্দ্রে প্রথমবার ভোট দিতে আসা এডিথ বিবিসিকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘একজন নাইজেরিয়ান হিসেবে যে কোনো ঘটনা আশা করা যায়, তাই আমি আমার পাওয়া ব্যাংক ও এক বোতল পানি নিয়ে এসেছি। আমি নির্বাচনের কাজে জড়িত লোকজনের আসার অপেক্ষা করছি যাতে আমার ভোটটি দিতে পারি।’