ন্যাটোতে যোগ দিতে চুক্তি স্বাক্ষর করল ফিনল্যান্ড-সুইডেন
ন্যাটোর ৩০ সদস্য রাষ্ট্র ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের জন্য একটি যোগদান চুক্তিতে (অ্যাকসেশন প্রটোকল) স্বাক্ষর করেছে, যা ১৯৯০-এর দশকের পর থেকে জোটের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ।
ব্রাসেলসে ন্যাটোর প্রধান কার্যালয়ে জোটের প্রটোকলে স্বাক্ষর করেছে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডও। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করল দেশগুলো।
তবে, চূড়ান্ত সদস্যপদ পেতে সব সদস্য রাষ্ট্রের পার্লামেন্টের অনুমোদন এখনও প্রয়োজন। এ প্রক্রিয়া শেষ হতে এক বছরের মত লেগে যাবে। খবর রয়টার্সের।
ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়া নিয়ে একমাত্র আপত্তি ছিল তুরস্কের। আঙ্কারার অভিযোগ ছিল, নর্ডিক ওই দুই দেশ ‘সন্ত্রাসবাদকে মদদ’ দেয়।
গত সপ্তাহে মাদ্রিদে ন্যাটোর সম্মেলনে তুরস্কের সঙ্গে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের এ নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর দেশ দুটি ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আরো ব্যবস্থা গ্রহণের’ প্রতিশ্রুতি দিলে তুরস্ক আপত্তি তুলে নেয় এবং তিন দেশ মিলে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘এটি সত্যিই একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। টেবিলের চারপাশে ৩২ দেশকে নিয়ে আমরা আগের থেকে আরও শক্তিশালী হবো।’
মঙ্গলবার চুক্তিতে সইয়ের ফলে হেলসিংকি ও স্টকহোম এখন ন্যাটোর বৈঠক অংশ নিতে পারবে এবং সব ধরনের গোয়েন্দা তথ্য পাবে। কিন্তু, তারা এখনই ন্যাটোর প্রতিরক্ষা বলয়ের অংশ হবে না।
ন্যাটোর ‘ডিফেন্স ক্লজ’ অনুযায়ী, ন্যাটোর সদস্য কোনও একটি দেশে আক্রমণ করার অর্থ সব সদস্যকে আক্রমণ করা এবং সবাই মিলে তা প্রতিহত করবে।
প্রতিরক্ষা বলয়ের অংশ হতে হলে ন্যাটোর সব সদস্য রাষ্ট্রের পার্লামেন্টের অনুমোদন পেতে হবে।
এর আগে ১৯৯৭ সালে একইভাবে হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রকে সদস্য হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ন্যাটো তার পূর্বাংশের বিস্তার ঘটিয়েছিল। যেটিকে পশ্চিমারা তাদের অর্জন বলে মনে করলেও ক্ষুব্ধ হয়েছিল রাশিয়া।