পুতিনের জয় বিশ্বের জন্য ‘বিপর্যয়কর’ হবে : বরিস জনসন
ইউক্রেন যুদ্ধে যদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জিতে যান তবে বিশ্বের জন্য সে পরিণতি ‘নিশ্চিতভাবেই বিপর্যয়কর’ হবে বলে মনে করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। রোববার সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন জনসন।
জি-৭ সম্মেলনে অংশ নিতে বর্তমানে জনসন জার্মানিতে আছেন। বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির সাত দেশ যখন জার্মানির বাভারিয়াতে সম্মেলন করছে, তখন রাশিয়ার ছোড়া এক একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বার বার কেঁপে উঠছে ইউক্রেনের রাজধানী কিইভ।
ইউক্রেন যু্দ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে তেলের দাম অনেক বেড়ে গেছে। শুধু তেল নয় বরং নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।
তারপরও জনসন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোকে যুদ্ধ বন্ধ করতে মস্কোর উপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেছেন।
জনসন বলেন, ‘আমি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের এটাই বলবো, এটি এমন কিছু যা আমেরিকা ঐতিহাসিকভাবেই করে এবং তাদের করতে হবে। এটা শান্তি, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে পদক্ষেপ নেওয়া।’
‘যদি আমরা পুতিনকে এটি নিয়ে যেতে দেই; একটি মুক্ত, স্বাধীন, সার্বভৌম দেশের বিশাল অংশ জয় করতে দেই, যেটা তিনি করতে চাইছেন...তাহলে বিশ্বের জন্য এর পরিণতি একেবারেই বিপর্যয়কর হবে,’ যোগ করেন বরিস জনসন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। যুদ্ধ চারমাস শেষ হয়ে পঞ্চম মাসে পড়েছে।
শুরুতে আলোচনার মাধ্যমে এই যুদ্ধ বন্ধে কিছু উদ্যোগ দেখা গেলেও কোনও অগ্রগতি ছাড়াই তা বন্ধ হয়ে গেছে। রাশিয়া কোনো ভাবেই আগ্রাসন থামাতে রাজি না। পুতিনকে বাধ্যও করা যাচ্ছে না।
যুদ্ধ থামাতে বাধ্য করতে কীভাবে মস্কোর উপর আরও চাপ সৃষ্টি করা যায় তা নিয়ে এবারের জি-৭ সম্মেলনে আলোচনা হবে।
বিশ্বের শীর্ষ সাত শক্তিশালী অর্থনীতির দেশের সংগঠন জি-৭। মস্কোর উপর আরো চাপ সৃষ্টি করতে এরই মধ্যে জি-৭ ভুক্ত চার দেশ যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও জাপান রাশিয়া থেকে সোনা আমদানি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। যা শিগগির বাস্তবায়ন করা হবে।
বাকি তিন দেশ জার্মানি, ফ্রান্স এবং ইতালিও একই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।