প্রথমবারের মতো নারী মেয়র পাচ্ছে বার্লিন
প্রথমবারের মতো নারী মেয়র পেতে যাচ্ছে জার্মানির রাজধানী বার্লিন। তাঁর নাম ফ্রানজিসকা গিফে। তিনি সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসপিডি) প্রার্থী।
৪৩ বছর বয়সী গিফে এর আগে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের জোট সরকারের অধীনে পরিবারবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মেরকেল সরকারের আমলে তাঁর দল সিডিইউর জোটসঙ্গী ছিল এসপিডি। খবর রয়টার্সের।
বার্লিনে এত দিন মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন এসপিডির মাইকেল মুলার। তবে তিনি এবারের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। ফলে মেয়র পদে একই দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ফ্রানজিসকা গিফে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, জার্মানিতে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের দলকে অল্প ব্যবধানে হারিয়ে নির্বাচনে জিতেছে মধ্য বামপন্থি দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি। দলটি ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে। অন্যদিকে, ২৪ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়েছে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ-সিএসইউ)।
তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও দলগতভাবে ভোটে সবচেয়ে ভালো করেছে গ্রিন পার্টি। তারা পেয়েছে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট, যা দলটির ইতিহাসে এ যাবতকালের সবচেয়ে বেশি। ১১ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টি (এফডিপি)।
এখন সরকার গঠন করতে হলে একটি জোট করতে হবে।
এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শলৎজ অবশ্য এর আগে বলেছেন, সরকার গঠনে তার দল ভোটে স্পষ্ট রায় পেয়েছে। সমর্থকেরা ব্যাপক উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ওলাফ শলৎজকে অভ্যর্থনা জানিয়েছে। পরে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ভোটাররা একটি ‘বাস্তবধর্মী সরকার’ গঠনে তাকে দায়িত্ব দিয়েছে।
অন্যদিকে, অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের আশির্বাদপুষ্ট সম্ভাব্য উত্তরসূরি আরমিন লাশেট বলেছেন, সবচেয়ে বেশি ভোট পেলেই জয়ী হওয়া যাবে না। পুরো বিষয়টা এখন অঙ্কের হিসাব।
বুথফেরত জরিপে দুই দলই সমান ভোট পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপ্রত্যাশিত পূর্বাভাস আসছিল এবং এই ফলাফলই যে শেষ নয় এমন ইঙ্গিত আগেই পাওয়া যাচ্ছিল। এখন একটি জোট সরকার গঠনের চাবিকাঠি রয়েছে গ্রিন পার্টি এবং এফডিপি’র হাতে।
দুটি দলের কেউই আলাদা করে চমক না দেখালেও তাদের দুই দলের ভোট একসঙ্গে করলে একটি জোট সরকার গঠনে বড় দুই দলের যে কারোর জন্য সেটি চমক হতে পারে।
তবে, তাদের এক ছাদের নিচে আনতে পারাই এখন বড় দুটি দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
জোট সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ছোট এই দল দুটিই ৩০ বছর বয়সের নিচে জার্মান নাগরিকদের পছন্দ। সব মিলিয়ে এখন জটিল আকার ধারণ করেছে এই নির্বাচনের ফল।