প্রথম শনাক্তের এক মাস আগে ডিসেম্বরেই করোনা রোগী ছিল ফ্রান্সে!
ফ্রান্সের এক চিকিৎসক দাবি করেছেন, করোনাভাইরাস প্রথম যখন ফ্রান্সে ধরা পড়ে, তার কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই দেশে অস্তিত্ব ছিল ভাইরাসটির। করোনায় ফ্রান্সে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গতকাল রোববার সবচেয়ে কম মৃত্যুহার রেকর্ড করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফ্রান্সের প্যারিস অঞ্চলের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোর (আইসিইউ) প্রধানের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক এভস কোহেন জানিয়েছেন, ২৭ ডিসেম্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি হওয়া এক রোগীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ছিল। অথচ দেশটিতে এ বছরের জানুয়ারির শেষের দিকে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়। ওই এক মাসে ২৪ রোগীর পরীক্ষা করা হলেও তখন তাদের শরীরে করোনাভাইরাস বা অন্য কোনো ফ্লু ধরা পড়েনি।
ওই চিকিৎসক দাবি করেন, ‘২৪ রোগীর একজনের ২৭ ডিসেম্বরই করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। তখন তিনি আমাদের সঙ্গে হাসপাতালেই ছিলেন।’
ডা. কোহেন জানান, সে সময় বিষয়টি নিশ্চিত হতে বারবার তার পরীক্ষা করা হয়।
এদিকে, মৃত্যুহার কমায় আগামী ১১ মে থেকে লকডাউনে শিথিলে যাচ্ছে ফরাসি সরকার। স্কুলগুলো ধাপে ধাপে খুলে দেওয়া হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও খুলে দেওয়া হবে পর্যায়ক্রমে। তবে খুবই সাবধানে এগোতে চায় দেশটি। আগামী কয়েক দিনে মৃত্যুর সংখ্যা কী দাঁড়ায়, তা দেখতে চায় কর্তৃপক্ষ।
ফ্রান্সে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে এ পর্যন্ত ২৪ হাজার ৮৯৫ জন। দেশটিতে আক্রান্ত এক লাখ ৬৮ হাজার ৬৯৩ জন। আর ৫০ হাজার ৭৮৪ জন করোনা রোগী সুস্থ হতে পেরেছেন।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মারা গেছে দুই লাখ ৪৮ হাজার ২৪৫ জন। মোট আক্রান্ত ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার ১৪১ জন। আর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৯৮৮ মানুষ।