প্রাণ বাঁচাতে ইউক্রেন ছেড়েছেন ৩০ লাখ মানুষ
রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রাণ বাঁচাতে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৩০ লাখ ইউক্রেনীয়। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ সেনারা। প্রথম পর্যায়ে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোতে এ অভিযান সীমিত রাখা হয়েছিল। এ কারণে পূর্বাঞ্চলের অনেক শহর থেকে অনেকেই ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভ ও তার আশপাশের শহরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
কিন্তু মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলেও রুশ বাহিনীর গোলাগুলি ও বোমাবর্ষণ শুরু হওয়ার পর বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে পার্শ্ববর্তী পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও মলদোভায় আশ্রয় নিচ্ছেন বহু নিরুপায় ইউক্রেনীয়। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
এদিকে রোমানিয়া ও ইউক্রেনের সীমান্ত সিরেত এলাকায় গত কিছুদিন ধরে শরণার্থীদের স্রোত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাতের বেলা তাপমাত্রা যখন মাইনাস ২ ডিগ্রিতে নেমে যায়—তখনও স্যুটকেস, ব্যাপপ্যাকসহ শিশুদের কোলে নিয়ে ক্লান্ত পদক্ষেপে চলেন ইউক্রেনের নারীরা। শিশুদের অনেকের হাতেই হয়তো থাকে টেডিবিয়ার বা এ জাতীয় কোনো পুতুল।
অবশ্য সীমান্ত পাড়ি দিয়ে রোমানিয়ায় পৌঁছালে আপাতত নিশ্চিন্ত। কারণ, সেখানে শরণার্থীদের গ্রহণ ও তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন রোমানিয়ার দমকল বাহিনীর কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা।
ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রুশ অভিযান শুরুর প্রথম দিকে যারা ইউক্রেন থেকে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাদের বেশিরভাগের হাতেই পর্যাপ্ত অর্থ ও পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোতে আশ্রয় দেওয়ার মতো বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন ছিল। কিন্তু বর্তমানে যারা শরণার্থী হিসেবে সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগরই এই সুবিধা নেই।
ইউএনএইচসিআরের কর্মকর্তা তাতিয়ানা শাবাক এ সম্পর্কে বলেন, ‘অনেক বয়স্ক ও শারীরিকভাবে পঙ্গু লোকজন এখন পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছেন। এদের বেশিরভাগই আশা করেছিলেন, যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে না।’