ফেলে দেওয়া মাস্ক থেকে বসার টুল
একটি বসার টুল বানাতে কয়টি মাস্ক লাগে? আপাতদৃষ্টিতে এমন অদ্ভুত প্রশ্নের উত্তর আপনার হয়তো জানা নেই, তবে দক্ষিণ কোরিয়ার কিম হা-নেউল কিন্তু উত্তরটি জানেন। তবে উত্তর জানার আগে চলুন জানা যাক কে এই কিম, আর কী-ই বা তাঁর কীর্তি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার কেয়ন ইউনিভার্সিটি অব আর্ট অ্যান্ড ডিজাইনের ছাত্র কিম হা-নেউল। এই করোনাকালে পরিবেশ রক্ষায় দারুণ এক কাজ শুরু করেছেন কিম৷ ফেলে দেওয়া ব্যবহৃত মাস্ক থেকে বসার টুল তৈরি করেছেন তিনি। আর এ কারণেই কিম জানেন একটি টুল তৈরি করতে দেড় হাজার মাস্ক লাগে।
অনেক মাস্কই তৈরি হয় পোলিপ্রপিলিন দিয়ে। আর পোলিপ্রপিলিন দিয়ে তৈরি ফেলে দেওয়া মাস্ক ও কারখানার ত্রুটিযুক্ত মাস্ক দিয়ে টুল বানানোর কাজে নেমে পড়েন কিম। এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের মতো ফেলে দেওয়া মাস্ক সংগ্রহ করেছেন কিম। এ ছাড়া কারখানা থেকে সংগ্রহ করেন এক টনেরও বেশি ত্রুটিযুক্ত মাস্ক।
এরপর করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে মাস্কগুলোকে আলাদা স্থানে চারদিন রেখে দেওয়া হয়। এরপর ইলাস্টিকের ব্যান্ড খুলে ফেলা হয়। পরে ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মাস্কগুলোকে গলানো হয়। এসব গলানো মাস্ক দিয়েই কিম তৈরি করেন বিভিন্ন রঙের তেপায়া টুল। মাস্ক দিয়ে এমন টুল বানানোর কাজ গ্র্যাজুয়েশনের এক্সিবিশনে প্রদর্শন করেছেন তিনি।
ভবিষ্যতে মাস্ক দিয়ে কিম চেয়ার, টেবিলসহ আরো বিভিন্ন আসবাবপত্র বানাবেন বলে আশাপ্রকাশ করেছেন।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের হিসাব অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরে দেশটিতে ১০০ কোটিরও বেশি মাস্ক উৎপাদন করা হয়েছে। কিম সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকে ফেলে দেওয়া মাস্ক সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছেন।