ফ্রান্সের নির্বাচন : প্রথম রাউন্ডে ম্যাক্রোঁ জয়ী, চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন লা পেনের সঙ্গে
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে জিতেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তবে, ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত ধাপের নির্বাচনে ম্যাক্রোঁকে লড়তে হবে চরম ডানপন্থি প্রতিদ্বন্দ্বী মেরিন লা পেনের সঙ্গে। আগামী ২৪ এপ্রিল চূড়ান্ত ধাপের ভোট হবে। খবর বিবিসির।
গতকাল রোববার ছিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম রাউন্ড। এ রাউন্ডের ভোট ৯৬ শতাংশ গণনায় দেখা গেছে, এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ২৭ দশমিক ৪২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মেরিন লা পেন পেয়েছেন ২৪ দশমিক শূন্য তিন ভোট।
প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণার পর ম্যাক্রোঁ তাঁর উল্লসিত সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘কোনো ভুল করবেন না, এখনও কিছুই নিশ্চিত হয়নি।’
তবে, ম্যাক্রোঁ প্রথম রাউন্ডে জয় পেলেও জনমত জরিপ বলছে—রান-অফ বা চূড়ান্ত ধাপের নির্বাচনে পেনের সঙ্গে তাঁর আরও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে।
এদিকে, প্রথম রাউন্ডের পর লা পেন তাঁকে ভোট দিতে ম্যাক্রোঁর সমর্থক ছাড়া বাকি সব ভোটারকে তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়ে ‘ফ্রান্সে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার’ আহ্বান জানান।
মারিন লা পেন ২০১৭ সালে এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছে বিপুল ভোটে হেরেছিলেন। এরপর তিনি তাঁর দল ন্যাশনাল ফ্রন্টকে এখন ‘ন্যাশনাল র্যালি’ নামে নুতন করে গড়ে তুলেছেন, যদিও তাঁর দলের নীতি খুব বদলায়নি।
এবারের নির্বাচনি প্রচারে প্রথমে প্রভাব ফেলেছিল কোভিড মহামারি, পরে ইউক্রেনের যুদ্ধ।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ নির্বাচনি প্রচারণায় খুব কম সময় দিয়েছেন। তাঁর মনোযোগ ছিল ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে ইউরোপের প্রতিক্রিয়ার দিকে।
তবে, একটি ইস্যু এবারের নির্বাচনে বাকি সব বিষয়কে ছাড়িয়ে গেছে। তা হলো—জ্বালানি ও জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সার্বিকভাবে জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি।
ফ্রান্সের ভোটারদের মধ্যে দুই বড় দলের প্রতি সচরাচর যে আনুগত্য দেখা যায়, ২০১৭ সালের নির্বাচনে তা ভেসে গিয়েছিল এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বিজয়ের মধ্য দিয়ে। ফ্রান্সের বড় দুই দল এখনও সে ক্ষতি সামলে উঠতে পারেনি।