ফ্রান্সে পেনশন ব্যবস্থার পরিবর্তন, বিক্ষোভে লাখো পেশাজীবী
ফ্রান্সে নতুন পেনশন ব্যবস্থার বিরোধিতা করে দেশজুড়ে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে লাখো পেশাজীবী মানুষ। এরই মধ্যে পরিবহন শ্রমিক থেকে শুরু করে শিক্ষক, পুলিশসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। এর ফলে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে দেশটি। বন্ধ রাখা হয়েছে রাজধানী প্যারিসের পাতাল রেল পরিবহন। বাতিল করা হয়েছে অসংখ্য হোটেলের রিজারভেশন। এয়ারপোর্ট ট্রাফিক কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রকরা এই ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার কারণে বৃহস্পতিবারের প্রায় সব ফ্লাইটও বাতিল করে দেওয়া হয়। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো চেয়েছেন একটি সর্বজনীন নির্দিষ্ট পেনশন ব্যবস্থা। কিন্তু সেটি বর্তমান পেনশন ব্যবস্থার চেয়ে ভিন্ন। এতে করে অবসরের পর পেনশনসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে তারতম্য তৈরি হবে।
এরই মধ্যে দেশজুড়ে ১০০টিরও বেশি শহরে বিভিন্ন পেশার আট লাখেরও বেশি মানুষ এ পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি শহরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানা গেছে। এদিকে প্যারিসে অন্তত ৯০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সিজিটি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা দেশটির আটটি তেল শোধনাগারের মধ্যে সাতটিই বন্ধ করে রেখেছে, এতে করে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে।
ফ্রান্সের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান আইফেল টাওয়ার ও প্যালেস অব ভারসেইলেসসহ বিভিন্ন স্থান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ট্রেন ড্রাইভার সাইরিল রোমেরো জানান, ‘আমি ২০০১ সালে যে চুক্তিতে কাজে ঢুকেছিলাম, সে অনুযায়ী ৫০ বছর বয়সে আমার অবসরগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু সেটি গিয়ে দাঁড়াচ্ছে ৫২ বছর বয়সে। আবার শেষ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, ৫৭ বছর বয়সে গিয়ে চুক্তি শেষ হচ্ছে। এখন আবার সরকার আমাদের দিয়ে দীর্ঘ সময় কাজ করাতে চাচ্ছে।’