বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় মিয়ানমারে মডেলের ৩ বছরের কারাদণ্ড
সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী গণবিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় মিয়ানমারের অন্যতম জনপ্রিয় একজন মডেল ও অভিনেতাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারে তার লাখ লাখ ভক্ত ও অনুসারি আছে।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মডেল ও অভিনেতা পেইং তাখোন অভ্যুত্থানবিরোধী প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন এবং অনলাইনে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে সরব ভূমিকা পালন করেছিলেন।
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে অং সান সু চির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। তারপর ক্ষমতা দখল করে ব্যাপক দমনপীড়ন শুরু করে।
তাখোনের বোনের ফেইসবুক পোস্টের ভাষ্য অনুযায়ী, এপ্রিলের একদিনে স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় আটটি সামরিক ট্রাকে করে আসা প্রায় ৫০ জন সৈন্য তাখোনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
এর আগে ২৪ বছর বয়সী তাখোনকে বেশ কিছু বিক্ষোভ ও মিছিলে অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল।
তিনি ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চির বেশ কিছু ছবি পোস্ট করে তাঁর মুক্তি দাবি করেছিলেন। ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই সু চিকে কারাবন্দি করে রাখা হয়। সম্প্রতি ভিন্নমত উস্কে দেওয়া ও কোভিড বিধি ভঙ্গের দায়ে তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, পরে সাজার মেয়াদ কমিয়ে দুই বছর করা হয়।
‘আমরা সামরিক অভ্যুত্থানের তীব্র নিন্দা জানাই। স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্ট, বেসামরিক সরকারের মন্ত্রীদের ও পার্লামেন্টের নির্বাচিত সদস্যদের আশু মুক্তির দাবি জানাই,’ এক অনলাইন পোস্টে তাখোন এমনটি লিখেছিলেন বলে জানা গেছে।
‘আমরা ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফলকে শ্রদ্ধা জানানোর এবং যত দ্রুত সম্ভব এনএলডির নেতৃত্বাধীন পার্লামেন্টের মাধ্যমে নতুন বেসামরিক সরকার গঠনের দাবি জানাচ্ছি,’ বলেছিলেন তিনি।
গ্রেপ্তারের পর তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়, পাশাপাশি ফেইসবুক অ্যাকাউন্টও বন্ধ করা হয়। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ১০ লাখেরও বেশি অনুসারি আছে। পরে এক ভক্তের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ফের সচল করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার ঘনিষ্ঠ পরিচিত এক ব্যক্তি এর আগে বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, গ্রেপ্তারের সময় তাখোন বিষণ্নতায় ও শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তখন সে ‘ঠিকমতো দাঁড়াতেও’ পারছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি।