মস্কোর দাবিতে কিয়েভকে ছাড় দিতে হবে : নোয়াম চমস্কি
বিখ্যাত দার্শনিক ও ভাষাতত্ত্ববিদ নোয়াম চমস্কি বলেছেন, ইউক্রেনকে অবশ্যই রাশিয়ার দাবিতে ছাড় দিতে হবে এবং সবাইকে বৈশ্বিক বাস্তবতার দিকে নজর দিতে হবে।
গত বুধবার কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন চমস্কি। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ইসলরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট।
ইউক্রেনে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পরও আক্রান্ত দেশটিকেই রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় আসা উচিত বলে মনে করেন চমস্কি। রাশিয়ার দাবির প্রতি ইউক্রেনকে অবশ্যই নমনীয় মনোভাব দেখাতে হবে বলেন তিনি।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মার্কিন অধ্যাপক চমস্কি বলেন, ‘আমরা এখন যে নীতি মেনে চলছি তা হলো, শেষ ইউক্রেনীয় বেঁচে থাকা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া। এই নীতি মেনে চললে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া আরেকটি বিকল্প হচ্ছে কূটনৈতিক সমাধান। এ সমাধান সবার জন্য সুখকর কিছু হবে না। কারণ, এটি মূলত পুতিন ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের জন্য এই যুদ্ধ থেকে পালানোর পথ তৈরি করে দেবে।’
‘আমরা জানি, মূল বিষয়টি হচ্ছে ইউক্রেনের নিরপেক্ষ অবস্থান নিশ্চিত করা। সঙ্গে দনবাস অঞ্চলের বাস্তবতা, অর্থাৎ ইউক্রেনের ফেডারেল কাঠামোর মধ্য থেকেই সে অঞ্চলে ব্যাপক পরিসরে স্বায়ত্তশাসনের প্রতিষ্ঠা করা। আমরা মানি বা না মানি, এটা বুঝে নিতে হবে যে, ক্রিমিয়া নিয়ে কোনো ধরনের দাবি-দাওয়া আলোচনার টেবিলে নেই, বলেন চমস্কি।
নোয়াম চমস্কি আরও বলেন, ‘এই বাস্তবতা আপনারা নাও মানতে পারেন। ধরুন, আমরা জানতে পারলাম যে, আগামীকাল একটি ঘূর্ণিঝড় হবে। এখন ঘূর্ণিঝড় পছন্দ করি না বা ঘূর্ণিঝড়ের অস্তিত্ব মানি না- এসব কথা বলে তো আপনি ঝড় থামাতে পারবেন না।’
ভাষাবিজ্ঞানে অবদান রাখার জন্য বিশ্ব বিখ্যাত হয়েছেন নোয়াম চমস্কি। তবে তিনি যুদ্ধ-বিরোধী, পুঁজিবাদ-বিরোধী এবং ইহুদিবাদ-বিরোধী অবস্থানের জন্যও বেশ পরিচিত।