মার্কিন পর্যটকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করছে ইউরোপীয় দেশগুলো
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া দেখে সে দেশ থেকে আসা ভ্রমণকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) অনেক দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
গত ৩০ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও পাঁচটি দেশকে নিরাপদ দেশের তালিকা থেকে বাদ দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সাতাশ সদস্য দেশকে মার্কিন ভ্রমণকারীদের মধ্যে খুব জরুরি নয়—এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয় ইইউ।
ইইউ’র এই বাধ্যবাধকতাবিহীন নির্দেশনার পর এবার ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও সুইডেন নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করল।
নেদারল্যান্ডস বলছে, আজ শনিবার (৪ আগস্ট) থেকে ইসরায়েল, কসোভো, লেবানন, মন্টেনেগ্রো ও উত্তর মেসেডোনিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকেও ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা’ বিবেচনা করা হবে। এসব দেশ থেকে আসা লোকজনকে পূর্ণ ডোজ কোভিড টিকাপ্রাপ্ত হতে হবে এবং একই সঙ্গে নেদারল্যান্ডসে ১০ দিনের কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে। এ ছাড়া আগামী সোমবার (৬ আগস্ট) থেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ব্যক্তিদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্টও দেখাতে হবে।
সুইডেন এর আগে যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় না রাখলেও এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগতদের নিরাপদ তালিকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। করোনার টিকা দেওয়া থাকুক বা না থাকুক, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা কাউকে সুইডেনে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তবে, রেসিডেন্ট পারমিট থাকলে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে পারলে তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে।
ইতালি এ বছরের শুরুতে সীমান্ত খুলে দিলেও, এবার যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ থেকে আসা লোকজনের বেলায় নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। গত মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) থেকে বিদেশ থেকে আসা লোকজনের পিসিআর বা অ্যান্টিজেন টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে ইতালি। সেটা কোভিড টিকা দেওয়া থাকুক বা না থাকুক।
আর যাঁরা টিকাপ্রাপ্ত নন, অথবা করোনা থেকে সেরে ওঠার প্রমাণ রয়েছে, তাঁদের পাঁচ দিনের কোয়ারেন্টিন এবং ইতালি ঢুকেই করোনার নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে। ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য দেশগুলোও যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নতুন বিধিনিষেধের কথা ভাবছে।
জুলাই ও সেপ্টেম্বরজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। এর কারণ হিসেবে ডেলটা ভ্যারিয়্যান্টকে দায়ী করা হচ্ছে।