মালয়েশিয়ায় আটক সাবেক হাইকমিশনার খায়রুজ্জামান মুক্ত
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর (অব.) মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানকে (৭০) মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মুক্ত হওয়ার পর স্ত্রীকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন খায়রুজ্জামান। আজ বুধবার ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
খায়রুজ্জামানের আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘তাঁর মুক্তিতে কোনো শর্ত আরোপ করা হয়নি। তিনি এখন পুরোপুরি মুক্ত।’ মুক্তির পর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান বলে জানিয়েছেন।
খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রিতা রহমান বলেন, ‘তিনি আমাকে ফোন করে বলেছেন, তাঁর আইনজীবীরা তাঁকে গ্রহণ করতে সেখানে রয়েছেন এবং তাঁকে তাঁর বাড়িতে ফিরিয়ে নিচ্ছেন।’
‘আল্লাহকে ধন্যবাদ এবং যারা তাঁর মুক্তিতে সাহায্য করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমি মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ জানাই’, ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে কে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন রিতা রহমান।
স্থানীয় সময় গত বুধবার মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের আমপাং এলাকার বাসা থেকে খায়রুজ্জামানকে আটক করা হয়।
মালয়েশিয়ায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শরণার্থী হিসেবে আছেন তিনি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মালয়েশিয়া সরকার আমাদের বলেছে, তাঁকে আটক করা হয়েছে। আমরা তাঁকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনব।’
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি হামজাহ যাইনুদ্দিনও দ্য স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন, পরে খালাস পান। খালাস পাওয়ার পর ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৭ সালের আগস্ট পর্যন্ত মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হন।
ক্ষমতা গ্রহণের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে খায়রুজ্জামানকে ঢাকায় ফিরতে আহ্বান জানায় এবং পরবর্তী সময়ে তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল করা হয়।
পরে খায়রুজ্জামান তাঁর জীবনের ঝুঁকি অনুমান করে কুয়ালালামপুরে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) কাছে যান এবং মালয়েশিয়ায় তার অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি পরিচয়পত্র পান।