মালয়েশিয়ায় বাতিল হতে যাচ্ছে মৃত্যুদণ্ড
কিছু অপরাধের কারণে বাধ্যতামূলক শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিল করতে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বা দেওয়ান রাকায়াত একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। আজ সোমবার (৩ এপ্রিল) আইন সংস্কারের এই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
প্রস্তাবিত আইনটি যদি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ বা দেওয়ান নেগারায় পাস হয়, তবে সেটি দেশটির রাজার কাছে স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হবে। আর এর মাধ্যমে আইনে পরিণত হবে খসড়াটি। খবর আলজাজিরার।
এই সংশোধনী হত্যা ও মাদক পাচারের মতো প্রচলিত ৩৪টি অপরাধের শাস্তি হিসেবে প্রযোজ্য হবে। এর মধ্যে ১১টিতে রয়েছে বাধ্যতামূলক শাস্তির বিধান।
এ ছড়া কিছু গুরুতর অপরাধ যা জীবননাশ করে না, যেমন অপহরণ এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার বা পাচারের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান প্রত্যাহার করা হতে পারে।
মালয়েশিয়ায় ২০১৮ সাল থেকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত রয়েছে। ওই সময়েই দেশটি সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান বাতিলের প্রতিশ্রুতি দেয়।
এ প্রসঙ্গে মালয়েশিয়ার আইনবিষয়ক উপমন্ত্রী রামকারপাল সিং বলেন, ‘সর্বোচ্চ শাস্তি হলো অপরিবর্তনীয় শাস্তি, যা অপরাধ দমনের কার্যকর পদ্ধতি নয়।’
পার্লামেন্টে বিলটির ওপর বিতর্কের সময় সমাপনী বক্তব্যে রামকারপাল বলেন, ‘যে ফলাফল পাওয়ার জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান জারি হয়েছিল, তা পাওয়া যায়নি। আর আমরা প্রত্যেকটি মানুষের বেঁচে থাকার জন্মগত অধিকারকে ঢালাওভাবে অবজ্ঞা করতে পারি না।’
মালয়েশিয়ায় এমন সময়ে আইনটি পাসের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দেশটির অন্যান্য প্রতিবেশিরা সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানকে বেশি করে কার্যকর করছে।
গত বছর সিংগাপুর মাদক সংক্রান্ত অপরাধে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড দেয়। এ ছাড়া মিয়ানমারে চারজন গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের উপপরিচালক ফিল রবার্টসন সোমবারের ভোটকে মালয়েশিয়ার সামনে এগোবার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।