মায়ের চিকিৎসার জন্য চুরি করে দেশে অর্থ পাঠানোয় যে সাজা হলো প্রবাসীর
চুরি প্রমাণিত হলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইন অনুযায়ী জরিমানাসহ ছয় মাস থেকে তিন বছর কারাদণ্ড আর চুরির চেষ্টা হলে জরিমানাসহ তিন থেকে ১৮ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অথচ দেশটির আজমান প্রদেশে এক প্রবাসী চুরির কথা স্বীকার করার পরও সর্বনিম্ন সাজার চেয়ে কম দণ্ড দিয়ে দৃষ্টান্ত রেখেছেন সেখানকার ফৌজদারি আদালতের এক বিচারক।
৩৯ বছর বয়সী অভিযুক্ত ব্যক্তি জানিয়েছেন, মায়ের চিকিৎসার জন্য অর্থ নেই বলে বাধ্য হয়ে চুরি করেছেন তিনি। সাড়ে সাত হাজার দিরহাম চুরির কথা অকপটে স্বীকার করেন ওই ব্যক্তি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় এক লাখ ৭২ হাজার ৭৩২ টাকা। তবে চুরির পুরো অর্থ খরচ করেননি। মায়ের চিকিৎসা বাবদ এক হাজার দিরহাম দেশে পাঠানোর পর বাকিটা মরুভূমির বালুর নিচে পুঁতে রাখেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
আজমানের একটি মসলা প্যাকেটজাতকরণ কোম্পানির এক কর্মকর্তা গাড়ির ইঞ্জিন চালু করে কিছু কাগজপত্র আনতে অফিসে যান। এই ফাঁকে গাড়িতে থাকা অর্থ চুরি করেন ওই প্রবাসী। ফিরে এসে অর্থের ব্যাগটি না দেখে তৎক্ষণাৎ পুলিশকে জানান ওই কর্মকর্তা। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ব্যাগটি গাড়ি থেকে নিয়ে ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিচ্ছেন প্রবাসী ব্যক্তি। প্রমাণ দেখানো হলে কারণসহ চুরির কথা গোয়েন্দাদের কাছে ঘটনা স্বীকার করেন তিনি।
কঠিন পরিস্থিতিতে ওই ব্যক্তি চুরি করতে বাধ্য হয়েছেন এমনটি প্রমাণিত হয় এবং এর আগে কোনো অপরাধের রেকর্ডও নেই তাঁর বিরুদ্ধে। সংগত কারণেই অপরাধীর নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।