মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘের
সেনা অভ্যুত্থানের হওয়ায় মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন মিয়ানমারে অস্ত্র বিক্রি না করার বিরল একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের ওই প্রস্তাবে সামরিক শাসনের নিন্দা জানিয়ে নির্বাচিত নেতা অং সান সু সিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দাবি করা হয়। একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধেরও আহ্বান জানানো হয়। গত ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে অন্তত ৮৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি)।
এই প্রস্তাব কোনো আইনি বাধ্যবাধ্যকতা নয়, তবে এর রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। সাধারণ অধিবেশনের ১১৯টি সদস্য দেশই এই প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট দিয়েছে। একমাত্র বেলারুশ এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়া ও চীনসহ ৩৬টি দেশ ভোটদানে বিরত থেকেছে। মিয়ামমারে অস্ত্র সরবরাহের সিংহভাগই করে থাকে রাশিয়া ও চীন।
সাধারণ অধিবেশনকে মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্জেনার বলেন, ‘বাস্তবেই বড় পরিসরে গৃহযুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সময় ঘনিয়ে আসছে। সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা থেকে অপসারণের সুযোগ সীমিত হয়ে আসছে।’
ভোটদানে বিরত থাকা কিছু দেশের ভাষ্য, মিয়ানমারের সংকট দেশটির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তবে অন্যদের অনেকে বলেন, প্রস্তাবে চার বছর আগে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযানের কথা উল্লেখ করা হয়নি।