মিয়ানমারে অভ্যুত্থান অবসানে জাতিসংঘকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রদূতের
সামরিক অভ্যুত্থান অবসানে ‘প্রয়োজনীয় যেকোনো কিছু করতে’ জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিয়াও মো তুন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ কথা জানিয়েছে।
দেশটিতে সামরিক জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকারী যেমন বাড়ছে, বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের দমনপীড়নের ঘটনাও দিন দিন বাড়ছে। আজ শনিবারও ব্যাপক বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। মারমুখী অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
রয়টার্স বলছে, জাতিসংঘে মিয়ানমারের দূত সু চি সরকারের হয়ে বক্তব্য দেওয়ার পর ইয়াঙ্গুনসহ বিক্ষোভ হওয়া এলাকাগুলোতে পুলিশ আরও কঠোর অবস্থানে গেছে।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে কিয়াও মো তুন সেনাপ্রধানের দ্বারা উৎখাত হওয়া ভোটে নির্বাচিত সরকারের প্রতিনিধিত্ব করার ঘোষণা দেন। লিখিত বিবৃতি পাঠকালে তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। সাধারণ পরিষদকে তিনি মিয়ানমারের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় যেকোনো কিছু করার কথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত।
জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের ফোরামে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এবং জনসাধারণের ওপর দমনপীড়ন বন্ধে সামরিক অভ্যুত্থান থামাতে অতিসত্ত্বর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো পদক্ষেপ আমাদের জন্য দরকার।’
তবে এ নিয়ে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের কারোর বক্তব্য নিতে পারেনি রয়টার্স।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিয়াও মো তুনকে বীর আখ্যা দিচ্ছেন সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধীরা। অধুনা নির্বাচিত সরকারের পক্ষে দাঁড়িয়ে তিনি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা।