মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৩ শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সেভ দ্য চিলড্রেন। সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা যাওয়া সবচেয়ে কম বয়সী শিশুটির বয়স মাত্র সাত বছর। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মিয়ানমারজুড়ে কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন রাস্তায় নামছে। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সেনা সরকার শুরুতে জলকামান ব্যবহার করলেও পরে রাবার বুলেট ও গোলাবারুদ ব্যবহার করে।

অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি) জানায়, সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে এখন পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ৫৩৬ জন নিহত হয়েছে।

গত শনিবারে দেশটিতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সেদিন সশস্ত্রবাহিনী রাস্তায় এলোপাতারি হামলা চালিয়েছে। এমনকি অনেকে নিজের বাসায়ও মারা গেছে।

মান্দালয় শহরে নিহত সাত বছরের শিশু খিন মায়ো চিতের পরিবার বিবিসিকে জানায়, মার্চের শেষে তাদের বাসায় অভিযানের সময় সে তার বাবার দিকে দৌঁড়ে যাচ্ছিল। সেসময় পুলিশ তাকে গুলি করে।

সেভ দ্য চিলড্রেন জানায়, ১৪ বছর বয়সী আরেক শিশুও মান্দালয় শহরে নিজ বাড়ির ভেতরে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায়। ইয়াঙ্গুন শহরে ১৩ বছর বয়সী এক শিশু রাস্তায় খেলার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।

সেনাবাহিনীর অভিযানে আহত শিশুদের সংখ্যাও অনেক বেশি বলে জানিয়েছে সেভ দ্য চিলড্রেন। সংস্থাটি জানায়, এক বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার চোখে রবার বুলেটে ছোড়া হয়েছিল।

সামরিক অভিযান শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে বলে সর্তক করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন। তারা জানায়, দেশটিতে শিশুরা আতঙ্ক আর মানসিক চাপে পড়ছে।