মিয়ানমারে রক্তের বন্যা : একদিনে ৯০ বিক্ষোভকারী নিহত
রক্তের বন্যা বইয়ে দিল মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার। আজ শনিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপনের মধ্যেই মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে অন্তত ৯০ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। দেশটিতে বিক্ষোভ শুরুর পর আজ শনিবার ছিল সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন। খবর রয়টার্সের।
এদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাও বলছে, মিয়ানমারজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৯১ জন নিহত হয়েছে।
আজ শনিবার ইয়াঙ্গুন, মান্দালয়সহ বিভিন্ন শহরে ‘মাথায় ও পিঠে গুলিবিদ্ধ’ হওয়ার হুমকি উপেক্ষা করে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে আসার পর নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ওপর চড়াও হয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
ইয়াঙ্গুনে দালা শহরতলীর একটি থানার বাইরে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত চারজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাও।
বাণিজ্যিক এ রাজধানীর উত্তর দিকের জেলা ইনসেইনে একটি বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তিনজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে স্থানীয় অনুর্ধ্ব-২১ ফুটবল দলের এক খেলোয়াড়ও আছেন বলে জানিয়েছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।
মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাসিওতে তিনজন এবং ইয়াঙ্গুনের কাছে বাগো অঞ্চলে চারজন নিহত হয়েছে বলে খবর দিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় হোপিন শহরেও এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।
মান্দালয়ে বিভিন্ন ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার নাও। রক্ত ঝরেছে মান্দালয়ের কাছে অবস্থিত সাগাইং এলাকাসহও আরও কিছু অঞ্চলে।
সব মিলিয়ে শনিবার মিয়ানমারজুড়ে অন্তত ৯১ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় গণমাধ্যম মিয়ানমার নাও। রয়টার্স নিহতের এ সংখ্যা সঠিক কিনা, তা যাচাই করতে পারেনি।
সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্রের কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
‘আজ সশস্ত্র বাহিনীর জন্য লজ্জা দিবস। তিনশর বেশি নিরাপরাধ বেসামরিক মানুষকে হত্যার পর সামরিক বাহিনীর জেনারেলরা সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করছেন,’ একটি অনলাইন ফোরামে এমনটাই বলেছেন ক্ষমতাচ্যুত আইনপ্রণেতাদের জান্তাবিরোধী গোষ্ঠী সিআরপিএইচের মুখপাত্র ড. সাসা।