মিয়ানমারে ১৩৮ ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারী’ নিহত : জাতিসংঘ
মিয়ানমারে গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৩৮ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি নারী ও শিশুসহ ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের’ ওপর সহিংস দমনপীড়ন চালানোর কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। খবর ডয়েচে ভেলের।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফান ডুজারিক বলেন, ‘এই ১৩৮ জনের মধ্যে সপ্তাহান্তে নিহত ৫৬ জন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এদের অধিকাংশ ইয়াঙ্গুনের হলাইং থায়ার এলাকায় নিহত হয়।’
এ ছাড়া গত ৩ মার্চ একইদিনে ৩৮ জনকে হত্যা করে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে সেনাবাহিনী দেশজুড়ে আরও নতুন নতুন এলাকায় কঠোরভাবে সামরিক আইন জারি করতে শুরু করেছে। ইয়াঙ্গুন ও মান্দালয়ের কয়েকটি জায়গায় সামরিক আইন জারি করা হয়েছে। এখানে বিক্ষোভকারীদের সামরিক আইনে বিচার ও সাজা দিতে পারবে জান্তা কর্তৃপক্ষ।
এসব সত্ত্বেও গতকাল সোমবার মান্দালয়সহ বেশ কয়েকটি শহরে রাজপথে নেমে আসেন বিক্ষোভকারীরা। ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে অব্যাহত প্রতিরোধ বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনী কঠোর থেকে কঠোরতর হচ্ছে।
পশ্চিম ইয়াঙ্গুনের হ্লাইংথায়া উপশহরীয় এলাকায় চীনা বিনিয়োগে পরিচালিত দুটি পোশাক কারখানায় আগুন ধরিয়ে দিলে সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সামরিক বাহিনী ওই এলাকাসহ ইয়াঙ্গুনের দুটি জায়গায় মার্শাল ল জারি করে। জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকারীরা মনে করে, সামরিক অভ্যুত্থানে বাহিনীকে মদদ দিচ্ছে চীন।
তৈরি পোশাক কারখানায় আগুন দেওয়ার ঘটনায় মিয়ানমারের চীনা দূতাবাস গত রোববার মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়।
কারখানা দুটিতে কারা আগুন ধরিয়েছে তা স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী বা পক্ষ।
দেশটির সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর থেকে দেশটিতে জান্তাবিরোধী তুমুল বিক্ষোভ চলছে। সেনা অভ্যুত্থানের অবসান ও দেশটির নেত্রী অং সান সু চিসহ সামরিক বাহিনীর হাতে আটক রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে রাজপথে রয়েছে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি সাধারণ জনগণ।