মৃত্যু কমছে ফ্রান্সে, শিগগিরই লকডাউন তুলে নেওয়া হবে
ফ্রান্সে মহামারি করোনাভাইরাসে বৃহস্পতিবার নতুন করে আরো ২৮৯ জন প্রাণ হারিয়েছে। ফলে সেখানে আগের দিনের চেয়ে মৃতের সংখ্যা ১০০ জনের বেশি কমেছে। এদিকে দেশটির আইসিইউ’তে রোগীর সংখ্যাও কমেছে, খবর এএফপি।
ফ্রান্সের শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জারোম সালোমোন জানান, এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট ২৪ হাজার ৩৭৬ জনে দাঁড়াল। যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ব্রিটেন ও স্পেনের পর ফ্রান্সের মৃতের এ সংখ্যা বিশ্বের পঞ্চম সর্বোচ্চ।
খবরে বলা হয়, প্রাত্যহিক হিসাবে আগের দিন বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার মৃতের সংখ্যা অনেক কমেছে। দেশটিতে বুধবার ৪২৭ জনের মৃত্যু হয়। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ফ্রান্সে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমা অব্যাহত থাকায় দেশটির আইসিইউ’তে রোগীর সংখ্যা ১৮৮ জন কমে ৪ হাজার ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত ৯ এপ্রিল সেখানে করোনাভাইরাসে ৭ হাজার ২০০ জনের মৃত্যু হয়। ফ্রান্সে এক দিনে এটিই ছিল সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।
সালোমোন আরো জানান, ফ্রান্সে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি মোট রোগীর সংখ্যা ২৬ হাজার ২৮৩ জন। তবে এ মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৫০ হাজার করোনা রোগী সুস্থ হয়ে ওঠায় তাদেরকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সরকার জানিয়েছে, আগামী ১১ মে থেকে দেশের কঠোর লকডাউন শিথিল করা হবে। তবে যেসব এলাকায় করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে সেসব এলাকায় ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করা হবে। এদিক থেকে সরকার করোনা আক্রান্ত বিভিন্ন অঞ্চল লাল, কমলা ও সবুজ এ তিন ভাগে চিহ্নিত করবে। সবুজ চিহৃত অঞ্চলগুলো থেকে খুব শিগগিরই লকডাউন তুলে নেওয়ার পদক্ষেপ শুরু করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার সরকার বৃহত্তর প্যারিস এলাকা ও দেশের উত্তরপূর্বের এক-চতুর্থাংশ এলাকাসহ ৩৫ অঞ্চলকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে এগুলোকে লাল রঙে চিহিৃত করেছে।