যুদ্ধাপরাধের দায়ে আজ প্রথম রুশ সেনার বিচার শুরু
প্রায় আড়াই মাস আগে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর এই প্রথম ‘যুদ্ধাপরাধ’ ঘটানোর দায়ে কোনো রুশ সেনার বিচার করতে যাচ্ছে ইউক্রেন। একজন নিরস্ত্র ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিককে হত্যার অভিযোগে আজ শুক্রবার ভাদিম শিসিমারিন নামের এক রুশ সার্জেন্টকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, ভাদিম শিসিমারিন ইউক্রেনের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম চুপাখিভকায় একটি গাড়ির জানালা দিয়ে ৬২ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যুদ্ধের আইন ও রীতিনীতি সংক্রান্ত ইউক্রেনের ফৌজদারি অপরাধের শাস্তির ধারা অনুযায়ী তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেতে পারেন।
ভাদিম শিসিমারিনের আইনজীবী ভিক্টর ওভস্যানিকভ বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে মামলাটি নিঃসন্দেহে শক্তিশালী। এ ব্যাপারে আমরা কীভাবে আবেদন কবর তা আমি এবং আমার মক্কেল এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি।’
ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেল ইরিনা ভেনেডিক্টোভার অফিস বলেছে, তারা ১০ হাজার ৭০০ যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে রাশিয়ার ৬০০ সেনা ও সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধ তদন্ত করছে।
এদিকে, আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, অভিযুক্ত ভাদিম শিসিমারিনের বয়স ২১। তিনি ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর সুমিতে দায়িত্বরত ছিলেন। আরও চার সৈনের সঙ্গে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই প্রবীণ ব্যক্তিকে তিনি গুলি করেন। কারণ তিনি মনে করেছিলেন, ওই বৃদ্ধ তাঁদের পালানোর খবর ইউক্রেনের যোদ্ধাদের কাছে পাচার করতে পারেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় থেকে এ পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি অপরাধ নথিভুক্ত করেছে ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস। এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মামলা দায়ের করা হয়েছে অথবা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।