রাশিয়ার ১০ যুদ্ধবিমানে আঘাত হানা হয়েছে : ইউক্রেন
রাশিয়ার ১০টি যুদ্ধবিমানে আঘাত হানা হয়েছে বলে দাবি করছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী। এ ছাড়া দুটি বড় অস্ত্র-বহর ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি তাদের। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, এসইউ-২৫ ও এসইউ-৩৪ মডেলের বিমানগুলোতে আঘাত হানা হয়েছে। এর মধ্যে একটি যুদ্ধবিমান স্টিংগার ম্যান-পোর্টেবল ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হেনে ভূপাতিত করা হয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এর বেশি আর কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
এ ছাড়া রুশ সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
এদিকে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘পরমাণু সন্ত্রাসবাদের’ অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। রুশ বাহিনী ইউক্রেনের একটি পারমাণবিক গবেষণা স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়েছে বলে দেশটির অভিযোগ। খবর বিবিসির।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় পরমাণু বিষয়ক কর্তৃপক্ষ বলছে—দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ শহরে অবস্থিত পারমাণবিক গবেষণা স্থাপনায় রুশ হামলা হয়েছে। এর জেরে সেখানকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এবং স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রুশ বোমার হামলায় স্থাপনাটির বাইরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি।
তবে, হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আর, রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ হামলার বিষয়ে কোনো বক্তব্য মেলেনি।
এর আগে গত ৩ মার্চ রুশ বাহিনীর গোলার আঘাতে ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রুশ বাহিনী দখলেও নিয়েছিল।
এরও আগে ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক ক্ষেত্র দখলে নেয় রুশ বাহিনী। জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক নজরদারি সংস্থা আইএইএ গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছে—চেরনোবিলের তেজষ্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের সঙ্গে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
চেরনোবিল ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। সেখানে ১৯৮৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াল পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল।