রুয়ান্ডা ও উগান্ডায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত ১৩৬
আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডা ও উগান্ডায় বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে অন্তত ১৩৬ জন নিহত হয়েছে। তবে বেশি হতাহত ও ক্ষতি হয়েছে রুয়ান্ডায়। দেশটিতে ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টির কারণে দেশটির পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে এই বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি। উদ্ধারকর্মীরা বাড়িতে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। খবর রয়টার্সের।
আকস্মিক বন্যার কারণে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে প্রতিবেশী উগান্ডায়ও। দেশটিতে প্রবল বন্যার কারণে অন্তত ৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। উগান্ডার রেডক্রস নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে বলেছে, দেশটির কিসোরো জেলায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
রুয়ান্ডা ব্রডকাস্টিং এজেন্সি বুধবার জানিয়েছে, ‘মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর উপলব্ধ রেকর্ড অনুসারে, এটি স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দেশটিতে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ দুর্যোগজনিত মৃত্যুর সংখ্যা হতে পারে।’
রুয়ান্ডার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের গভর্নর ফ্রাঁসোয়া হাবিতেগেকো সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার রাত ও বুধবার সকালে প্রবল বৃষ্টিপাতের পর আরও হতাহতের সন্ধান চলছে। গত সপ্তাহে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়। যার ফলে বন্যা ও ভূমিধসের ফলে সারা দেশে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেসে যায় এবং কিছু রাস্তা দুর্গম হয়ে পড়ে।
রুয়ান্ডা আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করেছে যে, আরও বৃষ্টিপাত আসছে। সরকার জলাভূমি ও অন্যান্য বিপজ্জনক অঞ্চলে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলেছে।
রুয়ান্ডার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম রুয়ান্ডা ব্রডকাস্টিং এজেন্সি টুইটারে একটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করেছে। তাতে দেখা যায়, রাস্তার ওপর দিয়ে কাদামাটির স্রোত বয়ে যাচ্ছে। দ্রুত প্রবহমান পানির ধাক্কায় ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।