রুশ বাহিনীর সব অর্জনই কেবল সাময়িক : জেলেনস্কি
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ বাহিনী বৃহস্পতিবারের লড়াইয়ে ৪০টির বেশি গ্রাম দখল করেছে। তবে তাদের এই অগ্রযাত্রাসহ অন্য সব অর্জনই কেবল সাময়িক বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের দেশের দক্ষিণ জেলেনস্কি ও পূর্বে দখলদাররা এসব কিছু করে যাচ্ছে, যাতে কিছু এলাকায় জয় পাওয়া নিয়ে তাদের কথা বলার একটি যৌক্তিক কারণ তারা পেতে পারে। তারা সেনা জড়ো করছে, আমাদের ভূমিতে নতুন ব্যাটেলিয়ন ট্যাকটিকাল গ্রুপ পরিচালনা করছে, এমনকি ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে তথাকথিত সেনাসমাবেশ শুরু করারও চেষ্টা চালাচ্ছে।’
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘এসব পদক্ষেপের কোনোটিই আমাদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে সহায়ক হবে না। এগুলো করে তারা শুধু অনিবার্য একটি বিষয়— দখলদারদের আমাদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার সময়কে বিলম্বিত করতে পারবে। বিশেষ করে মারিউপোল— দখলদারদের নানা কথা সত্ত্বেও যে শহরটি অব্যাহতভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়ছে।’
বিবিসি জানায়, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে এখনও তুমুল লড়াই এবং গোলাবর্ষণ চলছে। বৃহস্পতিবার ওই অঞ্চলে রাতভর আরও ভারী গোলাবর্ষণ হয়েছে।
রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন এক সামরিক কমান্ডার বলেছেন, ইউক্রেনে দ্বিতীয় ধাপের সামরিক অভিযানে রাশিয়া দনবাস অঞ্চল এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে।
তা ছাড়া, পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চল এবং ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের মধ্যে একটি ভূমি করিডোর বানানোর পরিকল্পনাও রাশিয়ার আছে বলে রুশ গণমাধ্যমগুলোকে জানিয়েছেন দেশটির সামরিক বাহিনীর এক উপকামান্ডার।
আর ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের দখল নিতে পারলে ট্রান্সনিস্ট্রিয়ায় ঢোকার পথ খুলে যাবে বলেও জানান তিনি। ট্রান্সনিস্ট্রিয়ার অবস্থান মলদোভার রাজধানী থেকে ১২৮ কিলোমিটার পূর্বে ইউক্রেন সীমান্তে।
১৯৯০ সালে রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা মলদোভা থেকে ট্রান্সনিস্ট্রিয়া অঞ্চলটি বিচ্ছিন্ন করে নিজেদের স্বাধীন দেশ বলে ঘোষণা করেছিল। সেখানে এখনও রাশিয়ার একটি সেনাঘাঁটি রয়েছে, যেখানে প্রায় দেড় হাজার রুশ সেনা মোতায়েন আছে।