রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হেগের আদালত
রোহিঙ্গা ইস্যুতে গাম্বিয়ার করা মামলার অন্তর্বর্তীকালীন রায় দিয়েছেন জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)। এই রায়ে মিয়ানমারের আপত্তি অগ্রাহ্য করে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দিতে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মিয়ানমার সরকারকে দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা গণহত্যার পুরোনো সব নথি সংরক্ষণেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা মামলার শুনানি শুরু হয়, যা চলে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তিন দিনের ওই শুনানিতে উভয় পক্ষ তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করে।
তখন মিয়ানমার নেত্রী সু চি দাবি করেন, রাখাইন রাজ্যে পুলিশ পোস্টে হামলাকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘর্ষ শুরু হয়। ফলে বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গা ওই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। আর এ বিষয়টিকে কোনোভাবেই গণহত্যা মানতে রাজি নন সু চি।
জাতিসংঘের আদালতে বিচারকদের উদ্দেশে সু চি বলেন, রাখাইনে সেনা অভিযানে যা ঘটেছে, তা গণহত্যার সংজ্ঞার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যে কারণে জাতিসংঘের আদালতে গাম্বিয়ার করা মামলা কেবলই ভুল দিককে নির্দেশ করছে।
আজ বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দ্য হেগে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় আইসিজের প্রধান বিচারপতি আবদুল কাভি আহমেদ ইউসুফ আদেশ ঘোষণা করেন।
আদেশ ঘোষণার শুরুতে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার দায়েরকৃত মামলার পক্ষে রোহিঙ্গা নিপীড়ন ও গণহত্যার যেসব আলামত আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল, সেসব বিরোধের ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি ইউসুফ।
আদালত বলেছেন, গণহত্যা সনদের ২ নম্বর ধারা অনুযায়ী মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে একটি বিশেষ সুরক্ষার অধিকারী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।