লিবিয়ার পার্লামেন্টে বিক্ষোভ, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় তোবরুক শহরের পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষোভকারীরা। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে আজ শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পার্লামেন্ট ভবনের সামনে টায়ারে আগুন ধরিয়ে সড়ক অবরোধ করা হয়। আগুনের ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়তে দেখা যায়।
বিদ্যুৎ সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও রাজনৈতিক স্থবিরতার প্রতিবাদে তোবরুক ছাড়াও বেশ কিছু শহরে বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। রাজধানী ত্রিপোলিতে বিরোধীপক্ষ ক্ষমতায়। সেখানেও নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছেন বিক্ষোভকারীরা।
তোবরুকে বিক্ষোভের ঘটনার ছবিতে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি বুলডোজার চালিয়ে পার্লামেন্টের একটি গেট ভেঙে দিচ্ছেন। ফলে সহজেই বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ছে। বিক্ষোভকারীদের একদল সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির সময়কার সবুজ পতাকা দোলাতে থাকে। তারা বিভিন্ন সরকারি ডকুমেন্ট ছুড়ে ফেলে দেয়।
জাতিসংঘের লিবিয়া বিষয়ক দূত স্টেফানি উইলিয়ামস বিবিসিকে বলেন, ‘সংঘাত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু একে রাজনৈতিক শ্রেণি তৈরির জন্য পরিষ্কার একটি আহ্বান হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। লিবিয়ার মানুষ আসলে দেশটিতে নির্বাচন চায়।’
লিবিয়ায় জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতির একদিন পরই দেশটিতে অস্থিতিশীলতা শুরু হয়ে গেছে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ওই আলোচনা হয়।
২০১১ সালে ন্যাটোসমর্থিত অভ্যুত্থানে দীর্ঘদিনের শাসক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের সময় থেকেই লিবিয়ায় অস্থিরতা বিরাজ করছে।