শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডেতে বোমা হামলা মামলার বিচার শুরু
শ্রীলঙ্কায় ২০১৯ সালে ইস্টার সানডেতে হওয়া বোমা হামলার ঘটনায় তিনটি মামলার মধ্যে প্রথম দুটির বিচার শুরু হয়েছে। আজ সোমবার শুরু হওয়া এই বিচারে প্রধান আসামি দেশটির সাবেক পুলিশ প্রধান পুজিথ জয়াসুন্দারা। তার বিরুদ্ধে একটি সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে বারবার সতর্কতামূলক গোয়েন্দা বার্তা পাওয়ার পরও পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল খ্রিস্টানদের ইস্টার সানডের দিনে শ্রীলঙ্কার তিনটি গির্জায় ও তিনটি হোটেলে একযোগে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ৪৫ জন বিদেশিসহ ২৬৭ জন নিহত হন। শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এই হামলায় আরও প্রায় ৫০০ জন আহত হন। হতাহতের বেশিরভাগই দেশটির সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোক।
এদিন আদালত কক্ষের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা জয়সুন্দারার উপস্থিতিতে ৮৫৫টি হত্যা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পড়ে শোনানো হয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এই মামলায় এক হাজার ২১৫ জন প্রত্যক্ষদর্শীকে সাক্ষী হিসেবে তালিকভুক্ত করা হয়েছে, তবে এদের সবাইকে ডাকা নাও হতে পারে বলে জয়সুন্দারার আইনজীবী জানিয়েছেন।
‘আমাদের অবস্থান হচ্ছে সাবেক পুলিশ প্রধান দোষী নন। তিনি সজ্ঞানে এই হামলায় সহায়তা বা মদদ দেননি আর তার কোনো ভুলের কারণেও হামলাগুলো ঘটেনি,’ রয়টার্সকে বলেন আইনজীবী রঞ্জিত দেহিওয়ালা।
ওই সময় শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব হেমাসিরি ফার্নান্ডো একই ধরনের অভিযোগে সোমবারই শুরু হতে যাওয়া আর একটি বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। তবে মন্তব্যের জন্য তিনি বা তার আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স।
এই উভয় সাবেক সরকারি কর্মকর্তাই জামিনে আছেন।
হামলাগুলো চালানোর জন্য অভিযুক্ত সন্দেহভাজন ২৪ ব্যক্তির বিচার মঙ্গলবার শুরু হবে।
তাদের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্র, হত্যায় সহায়তা ও ইন্ধন দেওয়া, অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহের ২৩ হাজার অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত মোহাম্মদ নাউফেরও অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন। তার সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে।