সমর্থকদের শান্ত থাকতে বললেন বাইডেন
চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেন। তিনি তিন শতাধিক ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে যাচ্ছেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন তাদের খবরে এমনটি জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যে অবস্থান করা বাইডেন এক বক্তৃতায় বলেন, ‘আমরা চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছি। তবে দেশ যেসব কঠিন সমস্যায় ভুগছে, তা সমাধানের কাজের ক্ষেত্রে অপেক্ষা করছি না।’
বাইডেন আরো বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাত ও অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে গতকাল সিনেটর হ্যারিস এবং আমি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। দেশব্যাপী উদ্বেগ বাড়িয়ে চলেছে মহামারি করোনাভাইরাস। সংক্রমণ আকাশচুম্বী। আমরা হয়তো দিনে দুই লাখ সংক্রমণ দেখতে পাব। এ পর্যন্ত মৃত্যু দুই লাখ ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে।’
পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে বাইডেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এখন দুই লাখ ৪০ হাজার চেয়ার খালি হয়ে গেছে। আমরা উভয় দল জানি, আমাদের সামনে কঠিন দুশ্চিন্তার সময়। নির্বাচনের পর এটা আরো কঠিন হতে পারে। তবে এখন ভোট গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, শান্ত থাকতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে সর্বোচ্চ এক লাখ ২৫ হাজার করোনা সংক্রমণের সময়ে এই সংকট নিয়ে বক্তব্য দিলেন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাইডেন।
এদিকে, নির্বাচনে এখনো জয়-পরাজয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও গন্তব্যের খুব কাছেই পৌঁছে গেছেন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন। ফল ঘোষণার বাকি থাকা পাঁচ অঙ্গরাজ্যের তিনটিতেই এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। আর জর্জিয়ায় প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর ভোটের ব্যবধান ১ শতাংশের কম হওয়ায় আইন অনুযায়ী পুনরায় ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ার মধ্যে নেভাদা, পেনসিলভানিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া ও আলাস্কার ভোটের ফলাফল এখনো মেলেনি। এগুলোতে এখনো ভোট গণনা চলছে। এর মধ্যে পেনসিলভানিয়ায় ২০টি, নর্থ ক্যারোলাইনায় ১৫টি, জর্জিয়ায় ১৬টি, আলাস্কায় তিনটি ও নেভাদায় ছয়টি মহামূল্যবান ইলেকটোরাল ভোট আছে। এসব অঙ্গরাজ্য থেকে ছয়টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেলেই হোয়াইট হাউসে যেতে পারবেন বাইডেন।
অন্যদিকে, আবারও প্রেসিডেন্ট হতে হলে ট্রাম্পকে নেভাদাসহ পাঁচটি অঙ্গরাজ্যের সব (৬০টি) ইলেকটোরাল ভোটই পেতে হবে।