সম্পর্কের টানাপোড়েন ঠিক করতে পদক্ষেপ নিল ফ্রান্স-যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে গত সপ্তাহে ‘অকাস’ প্রতিরক্ষা চুক্তির ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফ্রান্সের সৃষ্ট টানাপোড়েনের অবসান ঘটানোর উদ্যোগ নিয়েছে দেশ দুটি। এ লক্ষ্যে দুটির দেশের সরকারপ্রধান নিজেদের মধ্যে ফোনালাপ করেছেন। এবং সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসে তাঁরা সামনাসামনি বৈঠকে বসবেন বলেও জানা গেছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
‘অকাস’ চুক্তির জেরে ফ্রান্সকে অস্ট্রেলিয়ার জন্য সাবমেরিন তৈরির ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি খোয়াতে হয়েছে।
ফ্রান্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে চুক্তি ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে বিষয়টি তারা জানতে পেরেছিল। এই চুক্তির জেরে ফ্রান্সের সঙ্গে মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্পর্ক উন্নয়নে মার্কিন ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে বলেছেন, মিত্রদের মধ্যে খোলাখুলি আলাপের মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার আধা ঘণ্টা ফোনে কথা বলেছেন। আগামী মাসের শেষে ইউরোপে তাঁদের দেখা হবে।
‘অকাস’ চুক্তির পর ফ্রান্স প্রকাশ্যে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী চুক্তিটিকে ‘পিঠে ছুরি মারা’ বলেছিলেন। শুধু তাই নয়, মিত্র দেশের ক্ষেত্রে বিরল পদক্ষেপ হিসেবে, এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ওয়াশিংটন ও ক্যানবেরায় ফরাসি রাষ্ট্রদূতদের দেশে ডেকে পাঠান।
তবে, ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পুনরায় তাঁর পদে ফিরে যাবেন বলে বিবিসি জানিয়েছে। আর, ক্যানবেরায় রাষ্ট্রদূতও একই পথ ধরবেন কি না, সে বিষয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি।
বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর দেওয়া বিবৃতিতে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফরাসি ও ইউরোপীয় সম্পৃক্ততার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এবং বাইডেনের বিবৃতিতে ন্যাটোর পরিপূরক হিসেবে শক্তিশালী ইউরোপীয় প্রতিরক্ষায় মার্কিন স্বীকৃতির বিষয়টি পরোক্ষভাবে জানান দেওয়া হয়।