সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ইসরায়েল-আমিরাতের ‘ঐতিহাসিক চুক্তি’
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে দেশটির সঙ্গে এক ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁদের আশা এই বিরাট ঐতিহাসিক পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অগ্রগতিকে এগিয়ে নেবে।
ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সমঝোতায় পৌঁছে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তির আওতায় ইসরায়েল দখলকৃত পশ্চিম তীরের বিশাল অঞ্চলে বসতি স্থাপন স্থগিত করবে।
বিবিসি জানায়, এই চুক্তির আগ পর্যন্ত উপসাগরীয় কোনো আরব দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না। আরব আমিরাতই প্রথম দেশ যারা ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করল। তবে এটি ইসরায়েলের সঙ্গে তৃতীয় কোনো আরব রাষ্ট্রের শান্তি চুক্তি। এর আগে মিশর ১৯৭৯ সালে এবং জর্ডান ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু হিব্রুতে টুইট করেছেন, ‘এক ঐতিহাসিক দিন’ বলে।
যুক্তরাষ্ট্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল ওতাইবা বলেছেন, ‘এটি ওই অঞ্চলে কূটনীতির বিজয়।’ তিনি একে আরব-ইসরায়েল সম্পর্কে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে বর্ণনা করে বলেন, এর ফলে উত্তেজনা কমবে এবং অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন হবে।
গালফ নিউজের খবরে বলা হয়, সামনের দিনগুলোতে ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত বিনিয়োগ, পর্যটন, সরাসরি ফ্লাইট, নিরাপত্তা, টেলিযোগাযোগ, জ্বালানি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতিসহ নানা বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির পথে হাঁটবে।