সুদানে লড়াই অব্যাহত, খার্তুম থেকে মানুষ পালাচ্ছে
সুদানে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর লড়াই পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। খার্তুমে বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই। বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ।
সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে আরেকটি অস্ত্রবিরতির চেষ্টা হয়েছিল। বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, নাগরিকদের সুদানের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা অস্ত্রবিরতি দরকার।
সেই অস্ত্রবিরতি বুধবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খার্তুমের বাসিন্দারা জানান, তারপরেও তারা গোলাগুলির শব্দ পেয়েছেন। প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ও সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরের কাছ থেকে প্রচুর গোলার আওয়াজ এসেছে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ২৭০ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন দুই হাজার ৬০০ জন। তবে প্রকৃত সংখ্যাটা এর থেকেও অনেক বেশি হতে পারে। সমানে বোমা পড়ছে বলে আহতদের রাস্তা থেকে নিয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না।
সুদানের বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও বিমানের শব্দ সারা দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। আধা সামরিক বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ানদের গাড়িতে করে খার্তুমের রাস্তায় ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। বন্দুকধারীরা লুটতরাজও চালাচ্ছে বলে খবর এসেছে।
খার্তুমে সেনা সদর দপ্তরের আশপাশ থেকে বোমার আওয়াজ এসেছে। গত সপ্তাহে সেনাপ্রধান বুরহান জানিয়েছিলেন, তিনি সেখানেই আছেন। তিনি এখনও সেখানে আছেন কি না, তা জানা যাচ্ছে না। সেনাও তারপর আধাসামরিক বাহিনীর সদর দপ্তর লক্ষ্য করে আক্রমণ বাড়িয়েছে।
রয়টার্স জানায়, পশ্চিম খার্তুমে আধা সামরিক বাহিনীর নেতা দাগালোর বাড়ির কাছেও প্রবল লড়াই চলছে। তবে দাগালো কোথায় আছেন, তা জানা যায়নি।
ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে, মানুষ খার্তুম ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। খার্তুমের একটা বড় এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। খাবার পানি নেই। তার মধ্যে শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় প্রাণ বাঁচাতে পালাচ্ছে মানুষ।