সুদান সংকট : সাড়ে ২৪ কোটি ডলার সহায়তা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
সুদানে যুদ্ধ পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। দেশটিতে দ্রুত সাহায্য প্রয়োজন বহু মানুষের। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ মে) সুদানের জন্য ২৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত সোমবার (২২ মে) যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করেছিল সুদানে যুদ্ধরত দুই পক্ষ। মঙ্গলবার তা অমান্য করেই দুপুর পর্যন্ত তারা লড়াই চালিয়ে গেছে। তবে বিকেলের পর থেকে ধীরে ধীরে লড়াইয়ের তীব্রতা কমেছে। এরপরেও আকাশে যুদ্ধবিমান উড়েছে। মাঝে মধ্যে দু-একটি মর্টারের শব্দও পাওয়া গেছে। তবে আগের চেয়ে তা অনেক কম। এই পরিস্থিতির মধ্যেই দ্রুত বেসামরিক মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, সহায়তার অর্থ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে, যারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করে। প্রায় ১০ লাখ মানুষ সুদানে যুদ্ধের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কয়েক লাখ মানুষ ঘরছাড়া। তাদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, “সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং বিদ্রোহী প্যারামিলিটারির প্রধানকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।”
রেড ক্রস জানায়, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বহু মানুষ ঘর হারিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ চাদের জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। কিছুদিনের মধ্যেই সেই জঙ্গলে বৃষ্টি শুরু হবে। আর তা শুরু হলে জঙ্গলের ওই জায়গা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। না খেতে পেয়ে মৃত্যু হবে বহু মানুষের। ফলে দ্রুত তাদের কাছে পৌঁছানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সুদানের আধা সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। তাদের সঙ্গে লড়াই হচ্ছে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাতাহ বুরহানের সৈন্যদের। কোনো পক্ষই যুদ্ধ থামাতে রাজি নয়। দাগালো জানান, দেশের ক্ষমতা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।
ইতোমধ্যে রোববার সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় লিখিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে দুই দেশের। দুই পক্ষই সাত দিনের যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছে।