সৌদি আরবে হ্যালোইন উদযাপন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
পশ্চিমা বিশ্বের খ্রিষ্টীয় ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে প্রতিবছর উদ্যাপিত হয় হ্যালোইন উৎসব। ভূত, প্রেত, দেও–দানোর মতো সেজে আনন্দ করে সব বয়সি মানুষ। বিশ্বের অনেক দেশেই এখন এটি জনপ্রিয় উৎসব। সেই উৎসব পৌঁছে গেছে সৌদি আরবেও।
সৌদি আরবে হ্যালোইন উদ্যাপনের কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। গায়ে সৌদি আরবের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, আর মুখে ভয়ংকর মুখোশ—রাজধানী রিয়াদের ব্যস্ত রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছে কয়েকজন—এমন ছবি ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ইন্টারনেটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত সৌদি আরবে হ্যালোউন উৎসব উদ্যাপিত হয়েছে। যেখানে কয়েক বছর আগেও এই দেশে এই পশ্চিমা উৎসব নিষিদ্ধ ছিল। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে ‘ভিশন ২০৩০’ এর আওতায় অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উদারীকরণের লক্ষ্যে হ্যালোইনের মতো উৎসব আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)–এর জন্মভূমিতে এমন উৎসব আয়োজনের অনুমতি ও মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা। অনেকে এই উদারীকরণের প্রশংসা করলেও বহু মুসলিম এর নিন্দা জানিয়েছেন। খবর এনডিটিভির।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে একজন স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াহিয়া আল হাজ্জাজি বলেন, ‘আমরা যদি আবার আগের সময়ে ফিরে যাই, তাহলে বলতে হবে এটা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ নয়।’ ফিন্যান্সের ছাত্র আব্দুল আজিজ খালেদ বলেন, ‘সৌদি আরব বদলে যাচ্ছে।’
উইকেন্ড_হরর এবং কস্টিউম অব ইভিল নামে দুটি হ্যাশট্যাগ এখন টুইটারে শীর্ষে। সৌদি আরবে হ্যালোইন উদ্যাপনের এই দুই হ্যাশট্যাগ টুইটারে ঝড় তুলেছে। তবে মানুষের প্রতিক্রিয়া মিশ্র।
গবেষক ও টার্কিক ওয়ার্ড ইয়ুথ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট রমজান ইজল টুইটে বলেছেন, ‘এই ছবিগুলো রিয়াদে তোলা। সংস্কারের নামে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবে হ্যালোইন উদ্যাপনের অনুমতি দিতে শুরু করেছেন। এটা কোনো সংস্কার বা উদ্ভাবনের কিছু নয়, বরং এটা হলো মর্যাদাহানি এবং অধঃপতন। আমরা এটি গ্রহণ করতে পারি না।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘সৌদি আরব প্রকাশ্যে হ্যালোউন উদ্যাপন করছে, এটা আমরা কাছে খুব ভয়ংকর ব্যাপার মনে হচ্ছে।’
অনেকে অবশ্য এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এ বছর সৌদি আরবে হ্যালোইন...এককথায় দারুণ!’