সৌদি দূতাবাসের সাবেক ২ কর্মকর্তাসহ কয়েকজন বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
অবৈধ ভিসা বাণিজ্যের অভিযোগে বাংলাদেশের সৌদি দূতাবাসের দুই সাবেক ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। একই ঘটনায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়রে দুই কর্মকর্তা, আট বাংলাদেশি ও এক ফিলিস্তিনি বিনিয়োগকারীকেও গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শনিবার (৪ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি আরবের দুর্নীতি দমন কমিশন (নাজাহা)। আজ আল-আরবিয়া নিউজের প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়। যদিও আরব নিউজ বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন বাংলাদেশি ছিল।
আল আরাবিয়া প্রতিবেদনে জানায়, যে দুই দূতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা হলেন—বাংলাদেশের সৌদি দূতাবাসের সাবেক কনস্যুলার বিভাগের প্রধান আব্দুল্লাহ ফালাহ মুহাদি আল-শামারাই ও তার ডেপুটি খালেদ আল-কুহানতি। আর যেসব বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা সবাই সৌদিতে অবস্থান করছিলেন।
গ্রেপ্তার বাংলাদেশিদের নাম প্রকাশ করেছে আরব নিউজ। তারা বলছে, গ্রেপ্তার বাংলাদেশিরা হলেন—মোহাম্মদ নাসের উদ্দিন নূর, জাহিদ উসাইদ মাফি, আবুল কালাম মোহাম্মদ রফিক আল ইসলাম, আজিজ আল হক মুসিলিম উদ্দিন, আল আমিন খান, শহীদ আল্লাহ খান, আশরাফ উদ্দিন আকন্দ, আলমগীর হোসেন খান, শফিক আল ইসলাম শাহজাহান। এদের মধ্যে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক নাসের উদ্দিন নূর।
আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দূতাবাসে কাজ করার সময় কাজের ভিসা দেওয়ার নামে কিস্তিতে এক কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার (পাঁচ কোটি চার লাখ সৌদি রিয়াল) পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সৌদির নাজাহা বলছে, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সৌদিতে অবস্থান করাদের কাছ থেকে অর্থগ্রহণের কথা স্বীকার করেছে। আর বাকি অর্থ তারা পেয়েছে দেশটির বাইরে বিনিয়োগের সময়।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে নাজাহা কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘অভিযুক্ত বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ৫০ লাখ ৩৮ হাজার ডলার (দুই কোটি এক লাখ ৮০ হাজার রিয়াল), স্বর্ণ ও দামি গাড়ি জব্দ করা হয়।’ এই অর্থ ও জব্দ করা সমস্ত পণ্য গ্রেপ্তারকৃতরা ভিসা বিক্রি করে আয় করেছে বলে জানানো হয়।
আল-আরাবিয়া বলছে, সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ধরণের অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে আরও অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে সৌদি স্বরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ।