স্বাস্থ্যবিধি কার্যকরে মালয়েশিয়ায় চলবে ব্যাপক অভিযান
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ কার্যকর করতে এবার দেশজুড়ে ব্যাপক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া। যেসব কারখানা ও ব্যাবসাপ্রতিষ্ঠান লকডাউনের মধ্যেও চালু থাকবে, সেগুলোতে শিগগিরই এ অভিযান শুরু হবে বলে গতকাল শুক্রবার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জয়নুদ্দিন। স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (এসওপি) সমন্বয় কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সবাইকে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (এসওপি) মানতে হবে। যারা এটি লঙ্ঘন করবে, তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্রের অপব্যবহার করছে কি না, তা যাচাই করা হবে। একই সঙ্গে দেশজুড়ে করোনার ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে অস্থায়ী রোডব্লক স্থাপন করা হবে।’
এর আগে গত সোমবার জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির এক সভায় লকডাউনের মধ্যে এসওপি কার্যকরের সব পদক্ষেপ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আসবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এসওপি কার্যকরের এ কমিটিতে স্বাস্থ্য, অর্থ, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, সড়ক ও পরিবহণসহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় সংযুক্ত আছে। আর সবার সমন্বয়ে দেশজুড়ে স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ কার্যকর করা হবে বলেই জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে, স্বাস্থ্যবিধি না মানায় মালয়েশিয়ার দুটি কারখানা ও ১১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং একই দিনে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের অভিযোগে ২৫ জন অবৈধ অভিবাসীসহ ৬৯৬ জনকে আটক করা হয়েছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব।
এ ছাড়া আশঙ্কাজনক হারে করোনা সংক্রমণের রোগী শনাক্ত হওয়ায় এবার রাজধানী কুয়ালালামপুর ও সাবাহর কিছু অংশে এনহ্যান্সড মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (ইএমসিও) ঘোষণা করেন মন্ত্রী। স্থানীয় সময় আজ শনিবার থেকে আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত কুয়ালালামপুরের কাম্পুং সেগাম্বুট দালাম, পান্তাই দালামের জালান কুবুর ও সাবাহ রাজ্যের চারটি অঞ্চলে কার্যকর হবে ইএমসিও।
মন্ত্রী জানান, কুয়ালা তেরেঙ্গানুর বুকিত বেসার, কেদাহ রাজ্যের সিন্টকে ইউনিভার্সিটি উতারা মালয়েশিয়া, পেনাম্পাং–এর তামান ভিলা ফেলকা ও কোতা কিনাবালুর—এ দুই স্থান থেকে ইএমসিও তুলে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় নতুন করে পাঁচ হাজার ৮১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া মৃত্যু হয়েছে ৮২ জনের।