হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইনে বিচারের মুখোমুখি অস্ট্রেলীয়-চীনা দ্বৈত নাগরিক
নাশকতামূলক তৎপরতার অভিযোগে হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে একজন অস্ট্রেলীয়-চীনা দ্বৈত নাগরিকের বিচার হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ওই নাগরিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি হতে পারে, যা ক্যানবেরা ও বেইজিংয়ের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
এবিসি নিউজের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড ডিপার্টমেন্ট উল্লিখিত ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি, কিন্তু এটা জানিয়েছে যে, গত বছরের ৬ জানুয়ারি ওই নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ওই দিন শহরে ব্যাপক দমন-পীড়ন চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হংকংয়ের ৪৭ জন গণতন্ত্রপন্থি কর্মী ও রাজনীতিকের মধ্যে ওই নাগরিক একজন।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র অধিদপ্তর বলেছে, ওই ব্যক্তিকে ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরের দিন তিনি জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু তারপর ১ মার্চ আদালতে উপস্থিত হওয়ার সময় তাঁকে ফের গ্রেপ্তার করা হয় এবং ‘নাশকতামূলক তৎপরতার’ অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
হংকংয়ে অস্ট্রেলিয়ান কনস্যুলেট-জেনারেল অফিসের মুখপাত্র এবিসি নিউজকে জানান, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে হংকং কর্তৃপক্ষ জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে অস্ট্রেলিয়ান-চীনা দ্বৈত নাগরিককে গ্রেপ্তারের বিষয়ে তাঁদের অবহিত করেছিল। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে আমাদের কনস্যুলেট-জেনারেলের কর্মকর্তারা আদালতে শুনানিতে অংশ নিয়েছেন।’
‘তবে, একাধিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমাদের কনস্যুলার অ্যাকসেস প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। কারণ, ওই ব্যক্তিকে চীনের নাগরিকত্ব আইনের অধীনে একজন চীনা নাগরিক বলে মনে করা হয়, যা দ্বৈত নাগরিকত্বকে স্বীকৃতি দেয় না’, যোগ করেন অস্ট্রেলিয়ান কনস্যুলেট-জেনারেল অফিসের মুখপাত্র।
ওই নাগরিক ১১ মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন। তাঁর বড় ধরনের শাস্তিই হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।