হামাস-ফাতাহ মতৈক্য, ১৫ বছর পর ভোট ফিলিস্তিনে
প্রায় ১৫ বছর পর ফিলিস্তিনে আবার ভোট হতে যাচ্ছে। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গোষ্ঠী হামাস ও ফাতাহ এ নির্বাচন নিয়ে একমত হয়েছে। দুদিন ধরে তুরস্কে আলোচনায় বসেছিলেন হামাস ও ফাতাহ নেতারা। আলোচনার পর দুপক্ষ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ফিলিস্তিনে আগামী ছয় মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন হবে। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা, ডয়চে ভেলে ও ডেইলি সাবাহ এসব জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ মুভমেন্ট ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর নিয়ন্ত্রণ করে। আর হামাসের নিয়ন্ত্রণ গাজা ভূখণ্ডের ওপর। এক দশক ধরে এ দুই গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধাচরণ করে আসছে। অবশেষে তারা সাধারণ নির্বাচন করতে রাজি হলো।
আমিরাত ও বাহরাইনের ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তির পর হামাস ও ফাতাহ নিজেদের বিরোধ মিটিয়ে ফেলার তাগিদ অনুভব করে। কারণ, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ফিলিস্তিনের ছবি তুলে ধরা এখন জরুরি বলে হামাস ও ফাতাহ নেতারা মনে করছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে হামাস নেতা সামি আবু জুহরি বলেন, ‘এবার সত্যিকারের মতৈক্যে পৌঁছেছে দুই গোষ্ঠী। দুই গোষ্ঠীর মতপার্থক্যের জন্য দেশের ক্ষতি হয়েছে। তাই এবার দুপক্ষ একসঙ্গে বসে বিরোধ মিটিয়েছে।’
ফাতাহ নেতা জিবরিল আল-রাজৌব বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘মতৈক্য হয়ে গেছে। এবার নির্বাচনের দিন ঘোষণা হবে।’
২০০৭ সালে এ দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ভয়ংকর সংঘর্ষ হয়। তারপর ফাতাহ পশ্চিম তীরে এবং হামাস গাজা ভূখণ্ডে অধিকার কায়েম করে। এর আগেও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা হয়েছে; কিন্তু তা সফল হয়নি। ২০১২ সালেও দুই গোষ্ঠী বিরোধ মেটাতে সম্মত হয়। কিন্তু সে চুক্তিও বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।