হিজাব বাধ্যতামূলকের ইঙ্গিত ইরানের
বিক্ষোভের মুখে হিজাব আইনে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত অনেক আগে দিয়েছিল ইরান। তবে, এবার সেই অবস্থান থেকে সরে আসার আরেক ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। ইরানি কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, দেশটির সমস্ত নারীকে হিজাব পরিধান করতে হবে ও এটি বাধ্যতামূলক। আজ শনিবার (১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এমনটি দাবি করেছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি বলছে, ইরানি কর্তৃপক্ষ নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরিধানের বিষয়টি স্পষ্ট করছে। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে চলা বাধ্যতামূলক হিজাব বিরোধী বিক্ষোভের পর এই খবর সামনে এলো।
বিবিসি বলছে, ইরানের কট্টরপন্থী এক আইন প্রণেতা হিজাব ইস্যুতে বিচার বিভাগকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জনসম্মুখে হিজাব না পড়া নারীদের বিচারের আওতায় না আনলে একটি বিল উত্থাপনের কথা জানিয়েছেন তিনি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে তেহরানে নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মারা যান ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি। হিজাব না পড়ায় তাকে আটক করেছিল নৈতিকতা পুলিশ। এরপর থেকেই গোটা দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা চলমান। এই বিক্ষোভ থেকে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে চার বিক্ষোভকারীকে। এতকিছুর পরেও এখনও নমনীয়তা দেখাচ্ছে না ইরানি প্রশাসন।
ইরানে জনসম্মুখে হিজাব করা বাধ্যতামূলক হলেও এখনও অনেক ইরানি নারী এখনও এই আইন মানছেন না। এ সংক্রান্ত অনেক ভিডিও অনলাইনে দেখা যাচ্ছে। হিজাব বিরোধী ইরানি নারীরা এখনও শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হিজাব না পড়া এক নারীর শরীরে দই ছুড়ে মারে এক পুরুষ। বিষয়টি নিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সমালোচনা করতে থাকে ইরানের নেটিজেনরা।
হিজাব নিয়ে কঠোর থাকার কথা এই সপ্তাহে জানিয়েছে ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, এই ইস্যুতে আর কোনো সহনশীলতা দেখানো হবে না। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি বলছে, হিজাব ইসলামি আইনে অপরিহার্য উপাদান। এটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের অন্যতম প্রধান নীতি হিসেবে থাকবে।
এদিকে, বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম হোসেন মোহসেনি-ইজেই বলেছেন, যেসব নারী মাথা ঢেকে রাখেন না, তাদের কোনো ধরনের দয়া ছাড়াই বিচার করা হবে।