১৮ মাসের মধ্যে করোনার প্রতিষেধক আসতে পারে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
আগামী ১৮ মাসের মধ্যে বিশ্বে আতঙ্ক ছড়ানো নভেল করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হাতে পাওয়ার আশা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে তার আগ পর্যন্ত বিশ্বের দেশগুলোকে তাদের নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী প্রাণঘাতী ভাইরাসটির মোকাবিলা করতে হবে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস।
ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, ‘প্রতিষেধক ও ওষুধ তৈরির জন্য গবেষণা চলছে। এর জন্য সময় লাগবে। তবে তার মানে এই নয় যে এ মুহূর্তে আমাদের কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই।’
‘১৮ মাসের মধ্যে প্রথম প্রতিষেধক তৈরি হয়ে যেতে পারে। তাই এই ভাইরাস মোকাবিলায় আজ আমাদের কাছে যে অস্ত্র আছে, তা দিয়েই লড়াই করতে হবে,’ যোগ করেন টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস।
মরণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মূলত চীনের মূল ভূখণ্ডে হলেও এই ভাইরাসজনিত রোগকে বৈশ্বিক হুমকি হিসেবে আখ্যা দেন ডব্লিউএইচও প্রধান।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন টেড্রস আধানম, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ৯৯ শতাংশই চীনে, তাই দেশটির জন্য এটা খুবই জরুরি অবস্থা। কিন্তু বাদবাকি বিশ্বের জন্যও এটি চরম হুমকিস্বরূপ।’
করোনাভাইরাসের নতুন আনুষ্ঠানিক বৈজ্ঞানিক নাম ‘কোভিড-নাইনটিন’ উল্লেখ করে ডব্লিউএইচও প্রধান দাবি করেন, অনেকগুলো অজ্ঞাত বিষয় ভাইরাসটির প্রতিষেধক আবিষ্কারের পথে বিজ্ঞানীদের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
টেড্রস আধানম বলেন, ‘এরই মধ্যে গণমাধ্যম, অর্থনৈতিক বাজার ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মনোযোগ কেড়ে নেওয়া ভাইরাসটি মাত্র দুই মাস আগেও আমাদের কাছে অচেনা ছিল, এটা বিশ্বাস করা কঠিন। এই (ভাইরাসের) প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করতে হলে, আমাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস’ বিভাগের পরিচালক ডা. অ্যান্থনি ফসি জানিয়েছেন, আগামী এপ্রিল নাগাদ করোনার প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হতে পারে।