২৯ বছর বয়সে ‘বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নারী’র মৃত্যু
‘বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নারী’ হিসেবে খ্যাত মিসরের হুদা আব্দুল গাওয়াদ মারা গেছেন। গতকাল শনিবার কিডনি জটিলতায় ভুগে ২৯ বছর বয়সে তিনি মারা যান বলে মিসরীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে।
তিনটি গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন হুদা। রেকর্ডগুলো হল - ১. সবচেয়ে লম্বা হাতের পাতা (সাড়ে ৯ ইঞ্চি), ২. সবচেয়ে লম্বা পায়ের পাতা (১৩ ইঞ্চি) এবং আড়াআড়িভাবে প্রসারিত দুই বাহুর সর্বোচ্চ দূরত্ব (পৌনে আট ফুট)।
হুদার ভাই মোহাম্মদের বয়স ৩৪। তিনিও একাধিক রেকর্ডের অধিকারী। তার বাঁ হাতের পাতার দৈর্ঘ জীবিত যেকোনো পুরুষের মধ্যে সর্বোচ্চ, ১২ দশমিক ৩২ ইঞ্চি। মোহাম্মদের আরো একটি রেকর্ড আছে, সেটি হলো আড়াআড়িভাবে প্রসারিত দুই বাহুর সর্বোচ্চ দূরত্ব, আট ফুট আড়াই ইঞ্চি।
এক সঙ্গে এই দুই ভাই-বোন লন্ডনে চলাচলরত একটি ডাবল-ডেকার বাসের প্রায় সমান উচ্চতাসম্পন্ন ছিলেন। তাঁদের সম্মিলিত উচ্চতা ছিল ১৩ ফুট ৭ ইঞ্চি।
১৯৯১ সালের জানুয়ারিতে জন্ম হুদার। ১২ বছর পর্যন্ত তিনি স্বাভাবিক ছিলেন। এর পরই তিনি অনুভব করেন- তিনি দ্রুত অন্যদের চেয়ে লম্বা হয়ে যাচ্ছেন। তিনি তাঁর মা রুহির সঙ্গে একটি ছোট গ্রামে বাস করতেন। গ্রামটি মিসরের রাজধানী কায়রো থেকে ৯০ মিনিটের পথ।
হুদার ভাই মোহাম্মদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা। তিনিও ১২ বছর বয়স থেকে লম্বা হতে শুরু করেন। একসময় তিনি রেকর্ড-ব্রেকিং লম্বা হয়ে ওঠেন। এই দুই ভাই-বোন তাঁদের পোশাক তৈরি করতেন নিজেদের শহরের এক টেইলরের কাছ থেকে।