‘মানবিক করিডোর’ খুলে দেওয়া হয়েছে : রাশিয়া
বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য এর আগেও কিয়েভসহ চার শহরে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এমন উদ্যোগ প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্য দুপক্ষই একে-অপরকে দোষারোপ করেছে। এমন আশঙ্কার মধ্যেই আজ মঙ্গলবার কিয়েভসহ চেরনিহিভ, সুমি, খারকিভ ও মারিওপোল শহরে মানবিক করিডোর খুলে দেওয়া হয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ খারকিভ, মারিওপোল ও সুমি শহরে সাময়িক অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল রাশিয়া। তবে মস্কো যেসব করিডোর ঘোষণা করেছে, এর বেশিরভাগ রাশিয়ার দিকে গেছে। এ জন্য গতকাল এ রকম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল কিয়েভ সরকার। এ ছাড়া রুশ বাহিনী তাঁদের শর্ত মানছে না এবং সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে—এমন অভিযোগ এনে সাধারণ নাগরিকদের স্থানান্তর করেনি ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে এ শহরগুলো রুশ বাহিনীর আক্রমণের মুখে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এদিকে, ইউক্রেন শর্তের একটি তালিকা মেনে নিলে ‘এক মুহূর্তেই’ সেখানে সামরিক অভিযান বন্ধ করে দিতে রাশিয়া প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার এ কথা বলেছেন।
রাশিয়ার শর্ত বা দাবিদাওয়াগুলো তুলে ধরে দিমিত্রি বলেন, ‘মস্কো চায় ইউক্রেন সামরিক তৎপরতা বন্ধ করুক, নিরপেক্ষতা রক্ষার জন্য সংবিধান পরিবর্তন করুক, ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকার করে নিক এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিক।’
পেসকভ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ইউক্রেন শর্তগুলো সম্পর্কে জানে। তাঁদের বলা হয়েছে, এসব শর্ত পূরণ করলে এ মুহূর্তেই রাশিয়ার সামরিক অভিযান বন্ধ হতে পারে।’
তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।