‘ভুয়া খবরে’ জেরার মুখে জাকারবার্গ
‘ভুয়া খবর’ প্রচারের কারণে জেরার মুখে পড়তে যাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ।
একটি ‘প্রভাবশালী গোষ্ঠীর প্রতিনিধি’ হিসেবে ভুল সংবাদ প্রচারের অভিযোগে জার্মান পার্লামেন্টে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাকারবার্গকে ডাকা হতে পারে বলে জানিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ।
শুধু জাকারবার্গই নন, গুগল ও টুইটারের নির্বাহীদেরও একই অপরাধে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকতে পারে জার্মান সরকার।
জার্মান পার্লামেন্টের ‘কমনস কালচার কমিটিতে’ এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও খবরে জানানো হয়।
টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়, জার্মানিতে বসন্তের শেষে কিংবা গ্রীষ্মের শুরুতে প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাহীদের জেরার জন্য ডাকা হতে পারে।
জার্মানির ‘কমনস কালচার কমিটি’র চেয়ারম্যান ডামিয়ান কলিন্স বলেন, ‘বিদ্বেষপরায়ণ’ ভুয়া খবরগুলো ভয়ংকর। এগুলো যে কারো ক্ষতি করতে পারে।
টরি পার্টির নেতা কলিন্স আরো বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো এখন খবর প্রচারের অন্যতম বড় মাধ্যম। অথচ এই ক্ষেত্র নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো আইন এবং দায়বদ্ধতার বিষয় নেই। কিন্তু এ খবর প্রচারে দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রটি নিশ্চিত করা উচিত।
এর আগে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশী সিরীয় যুবক আনাস মোদামানির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে থাকার ভুয়া খবর প্রচারের অভিযোগে জার্মানিতেই মামলা হয়েছিল ফেসবুকের বিরুদ্ধে।
জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে ছবি প্রকাশ করার পর ফেসবুকে খবর ছড়ায়, ওই যুবক সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত। এই খবর প্রকাশের পর সিরীয় শরণার্থী ওই যুবক ফেসবুকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন।