শত বছর পর কেমন হবে শহর
একদিন চমৎকার সকালে ঘুম থেকে উঠে বহুতল ভবনের বারান্দায় এসে দাঁড়ালেন আপনি। পাশের ভবনের ছাদে ঘাস খেতে থাকা গরুগুলো যেন হাসিমুখে স্বাগত জানাল আপনাকে। দেখেই মনটা ভালো হয়ে গেল আপনার।
ছাদের ওপর গরু? জ্বি ভুল পড়ছেন না, ঠিকই পড়ছেন। তবে ঘটনাটা আজকের না হলেও আজকে থেকে ঠিক ১০০ বছর পর এমন দৃশ্য অহরহই চোখে পড়বে বলে বিশ্বাস করেন যুক্তরাজ্যের কিছু বিশেষজ্ঞ।
ভবিষ্যতের শহর :
পৃথিবীতে ক্রমাগত বাড়ছে লোকসংখ্যা। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে কিন্তু বাড়ছে না পৃথিবীর আয়তন। এত বিশাল সংখ্যক মানুষের স্থান সংকুলান করতে এরইমধ্যে গড়ে উঠতে শুরু করেছে সুউচ্চ সব ভবন। কিন্তু তাতেই কি ভবিষ্যতে জায়গা হবে?
অস্থায়ী আবাসিক এলাকা, পানির নিচের শহর কিংবা থ্রিডি ছবির মতো করে ঘর তৈরি করে শহরের ভেতরের বাস করার ব্যবস্থা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভবিষ্যতের স্থপতিরা যে শুধু মেঘের কাছাকাছি পৌঁছার মতো সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করবেন তাই নয় বরং তারা মাটির গভীরের দিকেও নজর দেবেন। যুক্তরাজ্যের একদল স্থপতি বলছেন, ভবিষ্যতের শহরে বহুতল বিশিষ্ট বেসমেন্ট তৈরি করা হবে। এরইমধ্যে লন্ডনের কিছুস্থানে এ ধরনের বেসমেন্ট তৈরি করা হচ্ছে। যা ঘনবসতিপূর্ণ লন্ডনের স্থান সংকুলান করতে সাহায্য করছে।
চলুন দেখে নিই কেমন হতে পারে আমাদের ভবিষ্যতের নগর :
বিশাল ভবনের নিচে বিশাল বেসমেন্ট। সেখানেও রয়েছে সবুজের সমারোহ। আছে শপিং মল, কনফারেন্স হল, পার্ক, সুইমিং পুল, অফিস থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব কিছু। শুধু যেকোনো ভবনের নিচে তৈরি করা হবে তাই নয়, রেললাইন বা সড়কের নিচেও তৈরি হতে পারে এমন বেসমেন্ট এলাকা।
দেখে মনে হতে পারে এটা কোনো সাই-ফাই চলচ্চিত্রের সেট। কিন্তু আসলে এটা ভবিষ্যৎ শহরের একটি ধারণা। ভবিষ্যতে সবুজ প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রেখে আর পৃথিবীর জলভাগকে ব্যবহার করে এ রকম যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যেতে পারে। এতে যেমন স্থান সংকুলান হবে তেমনি যোগাযোগ ব্যবস্থাও হবে পরিবেশ বান্ধব।
বিশাল বিশাল সব ভবনের ওপরে লাগানো হবে গাছ আর ঘাস। সেখানেই হবে গবাদিপশু লালন-পালনের ব্যবস্থা। কারণ স্থান সংকটের কারণে তো গাছপালা লাগানোর জায়গা তেমন থাকবে না। থাকবে না পশু পালনের স্থানও। তাই বিকল্প হিসেবে ১০০ বছর পরের পৃথিবীতে এ রকম দৃশ্য দেখা যাওয়াটাই তো স্বাভাবিক।