গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের গদি ছাড়বেন জাম্মেহ
গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট পদ আঁকড়ে থাকবেন না নির্বাচনে পরাজিত ইয়াহিয়া জাম্মেহ। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এমন ঘোষণা দিয়েছেন।
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন জাম্মেহ।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে জাম্মেহ বলেন, ‘এক ফোঁটা রক্ত ঝরারও কোনো প্রয়োজন নেই।’
‘আজ আমি নিজ বিবেক থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, গাম্বিয়াবাসীর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা সঙ্গে নিয়েই এই মহান জাতির নেতৃত্ব দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে দাঁড়াব।’
এই বক্তব্য দেওয়ার আগে জাম্মেহ ও পশ্চিম আফ্রিকান মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়। তবে বিষয়টি কোনো চুক্তির মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়েছে কি না, তা জানাননি জাম্মেহ।
প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের আগে গিনি ও মৌরিতানিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছিল জাম্মেহর।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আদামা ব্যারোর কাছে পরাজিত হন জাম্মেহ। নির্বাচনে হারের ফল প্রাথমিকভাবে মেনে নিয়েছিলেন জাম্মেহ। কিন্তু পরে তিনি ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ক্ষমতা থেকে সরবেন না বলে ঘোষণা দেন। তাঁর এই পদ না ছাড়তে চাওয়াকে সমর্থন করে গাম্বিয়ার পার্লামেন্টেও।
আফ্রিকার প্রভাবশালী অর্থনৈতিক জোট ‘ইকোওয়াস’ শুক্রবারের মধ্যে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে ইয়াহিয়া জাম্মেহকে সময় বেঁধে দিয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে ক্ষমতা না ছাড়লে জোর করে তাঁকে সরানো হবে বলে হুমকি দিয়েছিল সংস্থাটি।
আফ্রিকার জোটকে সমর্থন দিয়েছিল ১৫ সদস্যের জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও। তবে কোনোরকম বলপ্রয়োগের আগে রাজনৈতিক সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিল জাতিসংঘের এই পরিষদ।
আদামা ব্যারোর সমর্থনে গাম্বিয়ায় সেনাও পাঠিয়েছিল প্রতিবেশী দেশ সেনেগাল।